মেরা নম্বর কাব আয়েগা! শিমরন হেটমায়ার হয়তো নিজের ভাষাতে এতদিন নিজেকে এই কথাটিই বলছিলেন। এ বারের টুর্নামেন্টে সবচেয়ে ধারাবাহিক দল রাজস্থান রয়্যালস। প্রথম চার ম্যাচই জিতেছিল। সব কিছু ঠিক থাকলে পঞ্চম ম্যাচটিও তাদেরই হতে পারত। শেষ বলে ম্যাচ ছিনিয়ে নিয়েছিল গুজরাট টাইটান্স। বোলিংয়ের পর ব্যাটিংয়েও ম্যাচ জেতানো পারফর্ম করেছিলেন রশিদ খান। ম্যাচ শেষে সঞ্জু স্যামসন হারের কারণ খুঁজে পাচ্ছিলেন না। পঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধেও সহজ ম্যাচ এমনই একটা পরিস্থিতিতে পৌঁছেছিল।
আধডজন ম্যাচের মধ্যে পাঁচটি জয়। শেষ দিকে রক্তচাপ বেড়েছিল রাজস্থান রয়্যালস শিবিরে। ১৯তম ওভারে জোড়া উইকেট নিয়ে আরও চাপ বাড়ান স্যাম কারান। এ মরসুমে সেই অর্থে ব্যাটিংয়ে সুযোগ না পাওয়া রাজস্থানের বাঁ হাতি ব্যাটার তখনও ক্রিজে। উল্টোদিকে যোগ দেন ট্রেন্ট বোল্ট। কোনওরকমে স্ট্রাইক রাখছিলেন নিজের কাছে। এরপরও আতঙ্ক ছিল। শেষ ওভারে প্রয়োজন ১০ রান। শুরুতে দু-টি সিঙ্গল নেওয়ার সুযোগ থাকলেও নেননি হেটমায়ার। তৃতীয় বলে ছয়, চতুর্থ বলে মিস ফিল্ডিংয়ে ডাবল, পঞ্চম বলে ছয় মেরে ম্যাচ ফিনিশ।
বোর্ডে লক্ষ্য ছিল মাত্র ১৪৭। হেটমায়ারকে এই ম্যাচেও নামতে হবে, এমন সম্ভাবনা ছিল ক্ষীণ। সর্বসাকুল্যে ১০ বল খেলার সুযোগ পেলেন। আর তাতেই ম্যাচের সেরা। ১০ বলে অপরাজিত ২৭ রান। সবচেয়ে বড় কথা, এটিই ম্যাচের নির্ণায়ক ইনিংস হয়ে দাঁড়ায়। ১০ বলেই ম্যাচের সেরা! শিমরন হেটমায়ারের মাথায় কী চলছিল? ক্যারিবিয়ান ব্যাটার বলছেন, ‘নেটে সবচেয়ে বেশি ব্যাটিংয়ের চেষ্টা করি। এরপর সকলের ব্যাটিং হয়ে গেলে আবার নেটে যায়। সে সময় ছয় মারা প্র্যাক্টিস করি। ফিনিশারের ভূমিকা যাতে ঠিকঠাক পালন করতে পারি, তারই প্র্যাক্টিস।’
সবসময় যে নিজের ভূমিকায় সাফল্য পাবেন, তার গ্যারান্টি নেই। শিমরন নিজের প্র্যাক্টিস চালিয়ে যাওয়াতেই বিশ্বাসী। কিছুক্ষেত্রে পরিস্থিতি শাপে বর হয়ে দাঁড়ায়। এই ম্যাচেই যেমন পরপর উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ায় শিমরনের সুযোগ আসে। এমন সুযোগ আসবেই।