‘ব্যাংকগুলির প্রথম দায়িত্ব হল মানুষের সঞ্চিত অর্থ রক্ষা করা। পাশাপাশি ব্যাংকগুলির অপর গুরুত্বপূর্ণ দিক হল সম্পদ তৈরি করা। এই ভারসাম্য বজায় রাখতে হবে এবং যদি সেটা ব্যাহত হয়, তবে একটি অর্থনৈতিক সমস্যা তৈরি হবে ৷ তিনি আরও বলেন ফিনটেক লেনদেন নিষ্পত্তির জন্য কোভিড অতিমারি চলাকালীন প্রচুর কাজ করেছে । তাঁর কথায়, ফিনটেক সামাজিক ইক্যুইটি গঠনে সাহায্য করছে। এছাড়াও ইউপিআই দেশের ডিজিটাল পরিকাঠামো তৈরিতে এবং অতিমারির সময় লেনদেন নিষ্পত্তিতেও গুরুত্বপূর্ণ সাহায্য করেছে।’- মঙ্গলবার কলকাতায় ইউকো ব্যাঙ্কের অনুষ্ঠানে এসে এমনই বার্তা দিলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। অর্থাৎ, দেশের অর্থনীতির অগ্রগতির জন্য ব্যাংকগুলোকে ভারসাম্য রাখার পরামর্শ-ই এদিন দিতে দেখা গেল রাষ্ট্রপতিকে। এরই পাশাপাশি অর্থনৈতিক অগ্রগতি নিশ্চিত করতে ব্যাংকগুলিকে সম্পদ সৃষ্টি করারকেও অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব ব্যাংকের বলেও এদিন উল্লেখ করেন রাষ্ট্রপতি। শুধু ইউকো ব্যাঙ্কই নয়, দেশের সকল ব্যাংকগুলোর প্রতি বার্তা দিয়ে জানান, ব্যাংকগুলির প্রথম দায়িত্ব মানুষের সঞ্চিত অর্থকে রক্ষা করা।
মঙ্গলবার রাষ্ট্রপতি ইউকো ব্যাঙ্কের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে, ভার্চুয়ালি দেশের ১৮ টি রাজ্যে ইউকো ব্যাংকের ৫০ টি শাখার উদ্বোধন করেন। এছাড়াও তিনি ওড়িশায় একটি স্কুলের পুনর্গঠনের ভিত্তিপ্রস্তরও স্থাপন করেন ওই অনুষ্ঠান থেকেই। প্রসঙ্গত, এই স্কুলেরই শিক্ষক ছিলেন তিনি।
এদিনের এই অনুষ্ঠানের পর মধ্যাহ্ন ভোজ সেরে আম্রকুঞ্জে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগ দেন রাষ্ট্রপতি। এরপর দুদিনের সফর শেষে দমদম বিমানবন্দর থেকে দিল্লির উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন।