ডিএ নিয়ে বৈঠকে জট না কাটায় আন্দোলন আরও ঝাঁঝালো করতে নতুন উদ্যমে ঝাঁপাচ্ছেন আন্দোলনকারীরা

ডিএ নিয়ে রাজ্য সরকারের সঙ্গে বৈঠকের পরও জট কাটল না। শুক্রবার নবান্ন থেকে আন্দোলনকারীরা বৈঠক সফল নয় বার্তা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নতুন করে ঝাঁঝ যেন আরও বাড়ে ধরনা মঞ্চে। সন্ধেতে আলো কমে আসতেই মোবাইলের আলো জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখানো শুরু করেন মঞ্চের উপস্থিত সরকারি কর্মীদের একাংশ। সঙ্গে দেওয়া হয় ফের এক মহামিছিলের ডাক।
এদিনের বৈঠকে রাজ্য সরকার ডিএ দিতে অপারগ এই কথা জানানো মাত্রই আন্দোলনরত সরকারি কর্মীদের তরফ থেকে ঘোষণা করা হয়, আগামী ৬ মে মহামিছিল হবে। আর তা হবে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের তরফ থেকেই। আর সেই মিছিল হবে হরিশচন্দ্র স্ট্রিট থেকে কালীঘাট পর্যন্ত, এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা স্পষ্ট ভাষায় সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের তরফ থেকে জানানো হয়,শনিবার থেকে তাঁদের এই আন্দোলনের ঝাঁঝ আরও বাড়বে।’ সঙ্গে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয় লাগাতার ধর্মঘটেরও।’
রাজ্য সরকারকে বিদ্ধ করতে নতুন এক আন্দোলনের পথে হাঁটবেন বলেও জানান তাঁরা। কারণ, রাজ্যের তরফ থেকে যেখানে বারবার জানানো হচ্ছে যে,কেন্দ্র তাদের প্রাপ্ত বকেয়া মেটাচ্ছে না। তাই বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্প ধাক্কা খাচ্ছে। এবার এই বিষয়টিকে নিশানা করতে চলেছেন আন্দোলনকারীরা। তাঁদের কথায়, ‘কেন্দ্রের সঙ্গে রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ-এ ফারাক ৩৬ শতাংশ। রাজ্য বলছে কেন্দ্র টাকা দিচ্ছে না। তাই আমরা প্রতীকী প্রতিবাদ হিসেবে রাজ্যকে ৩৬ টাকা করে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি, যাতে তাদের মন্ত্রীরা ভাতা আরও বেশি করে পান।‘
এদিকে আবার সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের সঙ্গে কোথাও একটা দূরত্ব তৈরি হয়েছিল ইউনিটি ফোরামের। ভাস্কর ঘোষের বিরুদ্ধে একগুচ্ছ অভিযোগ এনেছিলেন ইউনিটি ফোরামের দেবপ্রসাদ হালদার। বলেন, ‘দেবপ্রসাদকে হিসাব চাওয়ায় তিনি এই সব বলছেন।’ তাঁর বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপের এক প্রচ্ছন্ন ইঙ্গিতও যেন করেন ভাস্কর ঘোষ, এমনটাই ধারনা অনেকের। তবে ভাস্কর ঘোষ এদিন খুব স্পষ্ট ভাষায় জানান, অন্যান্য সমস্ত সংগঠন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের সঙ্গে রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

thirteen + 1 =