হুগলি: যেখানে সিবিআই (CBI), সিআইডি (CID) ও ইডি (ED) দেশের মধ্যে কালো টাকা ও বেনামের সম্পত্তি উদ্ধার ও বাজেয়াপ্ত করতে তৎপর সেখানে প্রায় দশ কোটি টাকার ব্যাংক ঋণ পরিশোধ করতে না পেরে আস্ত একটা রাইস মিল (rice mill) ও তার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হল। আরামবাগ মহকুমা প্রশাসন, ব্লক প্রশাসন ও আরামবাগ থানার পুলিশের যৌথ অভিযানে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক এই সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে। বৃহস্পতিবার বেলার দিকে এলাকায় গিয়ে তা বাজেয়াপ্ত করা হয়। এতে এলাকায় ব্যাপক কৌতূহল ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনাটি ঘটেছে, আরামবাগের কানপুরে। আস্ত একটা রাইস মিল দখল নিল পঞ্জাব ন্যাশানাল ব্যাংক। বিশেষ সূত্রে জানা গিয়েছে, হুগলি জেলা শাসকের নির্দেশে এদিন ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ও হুগলি জেলা প্রশাসনের আধিকারিক থেকে শুরু করে আরামবাগ বিডিও অফিসের আধিকারিক-সহ অন্যান্যদের উপস্থিতিতে একের পর এক ঘর সিল করা হয়। রাইস মিলের সমস্ত সম্পত্তির সরেজমিনে দেখা হয়। আরামবাগ ব্লকের মাধবপুর অঞ্চলের কানপুর এলাকায় ন্যাশানাল রাইস মিল গড়ে ওঠে। বংশী বদন দে নামে একজন ব্যবসায়ী এই রাইস মিলের মালিক বলে জানা যায়। বিশেষ সূত্রে জানা গিয়েছে, তিনি পঞ্জাব ন্যাশানাল ব্যাংক থেকে প্রায় ছয় কোটি টাকা ঋণ নিয়েছিলেন। তারপর তা বাড়তে বাড়তে প্রায় দশ কোটি টাকায় পৌঁছয়। কিন্তু লোন পরিশোধ না করতে পারায় এদিন জেলা শাসকের নির্দেশে বিশাল পুলিশ বাহিনী কানপুরের ন্যাশানাল রাইস মিলে পৌঁছন। তারপর আধিকারিকদের নির্দেশে মিলের প্রদান দরজার তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে পুলিশ। চারিদিক ঘন জঙ্গলে ভর্তি রাইস মিলের চারিদিক। ভেতরের সাটার গেট ভেঙে দেখা যায় রাইস মিলের ভিতরে প্রবেশ করার পর মিলের যন্ত্রাংশ পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। হাজির হওয়া আধিকারিকরা সরজমিনে দেখে সমস্ত কিছু সিল করে দেন।
যদিও মিল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। তারা এলাকাতেই নেই বলে জানা গিয়েছে। এদিন বেলার দিকে প্রচুর পুলিশ ও র্যাফ নিয়ে হাজির হন আধিকারিকেরা। বেশির ভাগ যন্ত্রাংশই জং ধরে গিয়েছে। পুরো এলাকা ঘুরে তারা দেখেন। প্রায় ঘণ্টা দু’য়েক ভিতরে থেকে যাবতীয় তদন্ত ও পরিদর্শন করেন তারা। পরে গোটা রাইস মিলটি সিল করে দেওয়া হয়। এদিন এই অভিযানে হাজির ছিলেন পঞ্জাব ন্যাশানাল ব্যাংকের এক আধিকারিক উত্তম হাউলদার, বিডি অফিসের এক আধিকারিক সুমন্ত যশ। তাছাড়াও হাজির ছিলেন অন্যান্য আধিকারিকরা।