তুরস্ক-সিরিয়ার ভূমিকম্পের (Turkey-Syria Earthquake) রেশ এখনও কাটেনি। এরমধ্যেই ফের ভূমিকম্প (Earthquake)। এবার ভয়াবহ ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল তাজিকিস্তান (Tajikistan)। বৃহস্পতিবার ভোরেই ভূমিকম্প হয় পূর্ব তাজিকিস্তানে, রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৬.৮। ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল আফগানিস্তান ও চিনের সীমান্তের মাঝামাঝি অংশে। ভূমিকম্পের জেরে এখনও অবধি কোনও প্রাণহানির খবর না মিললেও, কম্পনের মাত্রা অনেকটাই বেশি থাকায় ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। ভূমিকম্পের পরে বেশ কয়েকবার শক্তিশালী আফটারশকও অনুভূত হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে। ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল আফগানিস্তান ও চিনের সীমান্তবর্তী আধা-স্বায়ত্তশাসিত পূর্বাঞ্চলীয় গোর্নো-বাদাখশান।
দিনকয়েক আগেই ভয়াবহ প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সাক্ষী থেকেছে সিরিয়া ও তুরস্ক (Turkey)। সাধারণ মানুষদের পড়তে হয়েছে চরম বিড়ম্বনায়। ওই দুই দেশে ভূমিকম্পে প্রাণ হারান প্রায় ৫০ হাজার মানুষ। ভূমিকম্পের পর কেটে গিয়েছে দু’সপ্তাহেরও বেশি সময়। ঘর-বাড়ি, হাসপাতাল, অফিস ভেঙে পড়ে বিশাল ধ্বংসস্তূপের চেহারা নিয়েছে একাধিক শহর। আর এখনও সেই ধ্বংসস্তূপের তলা থেকে উদ্ধার করা হচ্ছে অসংখ্য জীবিত মানুষকে।এহেন পরিস্থিতিতে তাজিকিস্তানে ভূমিকম্প।
মার্কিন জিওলজিক্যাল সার্ভের তরফে জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার ভোর ৫টা ৩৭ মিনিট নাগাদ ভূমিকম্প হয় পূর্ব তাজিকিস্তানে। ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ২০.৫ কিলোমিটার গভীরে ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল। ভূমিকম্প হয়ে যাওয়ার প্রায় ২০ মিনিট বাদে প্রথম আফটারশক অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে এই কম্পনের মাত্রা ছিল ৫.০। এরপর পর পর প্রায় ৬টি আফটারশক হয় বলে জানা গিয়েছে।
এদিকে, চিনের জিনজিয়াং অঞ্চলের সীমান্তের কাছে এবং তাজিকিস্তানে প্রায় ৭.৩ মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছে। মার্কিন সংস্থা ইউএসজিএসের মতে, এই ভূমিকম্প থেকে ভূমিধসের আশঙ্কা থাকলেও, ওই অঞ্চলটি তুলনামূলক কম জনঘনত্বপূর্ণ হওয়ায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনেকটাই কম হবে বলে আশা করা হচ্ছে।