পুরনিগমের অনুমতি নিয়ে লাগানো হোর্ডিং খুলে নিয়েছে তৃণমূল। এমনই অভিযোগে সরব হলেন বিজেপি প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পল। রবিবার রাতে তিনি আসানসোল দক্ষিণ থানায় গিয়ে বিক্ষোভ দেখান, পরে অভিযোগও দায়ের করেন তিনি। তাঁর বক্তব্য, পুরনিগমের অনুমতি নিয়ে যে হোর্ডিং লাগানো হয়েছে তা কীভাবে খুলে নেওয়া যায়? রবিবার, হোর্ডিংটি যখন খুলে নেওয়া হচ্ছিল, তখন তিনি ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান। হাতেনাতে ধরেন অভিযুক্তদের। জানা গিয়েছে, যে ব্যক্তি হোর্ডিংটি খুলছিলেন, তিনি নিজেকে কোনও এক এজেন্সিলর সদস্য বলে পরিচয় দিয়েছেন। তাঁর বক্তব্য, ওই হোর্ডিংটির পার্মিশন নেই, তাই খোলা হচ্ছিল। যদিও অভিযুক্ত ব্যক্তি এজেন্সির কোনও আইডি প্রমাণপত্র দেখাতে পারেননি। এরপরেই তৃণমূলের লোকজন গিয়ে বিজেপি কর্মীদের হুমকি দেন বলে অভিযোগ। বিজেপি কর্মীরা প্রতিরোধ গড়ে তুলেন। তাঁদেরকে বাঁশ, লাঠি দিয়েও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় অগ্নিমিত্রা পল, বিজেপি রাজ্য নেতা কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায় ও চন্দ্রশেখর বন্দ্যোপাধ্যায়। তারা প্রাথমিকভাবে পরিস্থিতি সামলান। পরে দলীয় কর্মীদের নিয়ে আসানসোল দক্ষিণ থানার ভেতরে ঢুকে যান। কর্তব্যরত পুলিশ কর্তাদের সঙ্গে কথা বলে তিনি অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁর বক্তব্য, তৃণমূলের ৭০টি হোর্ডিং দেওয়া হয়েছে। পরে ধরনা অবস্থান-বিক্ষোভের জেরে ২৮টি হোর্ডিং তাঁদেরকে দেওয়া হল। এবার রাতের অন্ধকারে সেটিও খুলে নেওয়া হচ্ছে। এই ঘটনার বিরুদ্ধে তিনি নির্বাচন কমিশন, পর্যবেক্ষক এবং পুলিশ সবাইকে অভিযোগ জানাবেন বলে জানিয়েছেন। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত রয়েছে আসানসোল দক্ষিণ থানা এলাকা চত্বর।
অগ্নিমিত্রা পল বলেন, ‘অনুমতি নিয়েই তো হোর্ডিং লাগানো হয়েছিল। কিন্তু ওরা সেটুকুও লাগাতে দেবে না। আসলে ওরা ভয় পাচ্ছে। পায়ের তলার মাটি হারাচ্ছে।’ এই ঘটনায় অবশ্য তৃণমূলের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।