রুদ্ধশ্বাস সমাপ্তির পথে এজবাস্টন টেস্ট। অ্যাসেজ সিরিজ শুরুতেই জমে উঠেছে। চতুর্থ দিনের শেষে পরিষ্কার বলা যায়, সমানে সমানে লড়াই। শেষ দিন অস্ট্রেলিয়ার চাই আরও ১৭৪ রান। ইংল্যান্ডের প্রয়োজন সাতটি উইকেট নেওয়া ডেলিভারি। ক্রিজে লড়ছেন প্রথম ইনিংসে শতরানকারী অজি ওপেনার উসমান খোয়াজা। ইংল্যান্ডের ভরসা ২০০৫ সালের পরিসংখ্যান। প্রথম ইনিংসে ৩৯৩-৮ স্কোরেই ডিক্লেয়ার দিয়েছিল ইংল্যান্ড। এজবাস্টন টেস্টের প্রথম দিন দেখা গিয়েছিল বহুচর্চিত বাজবল। মাত্র ৭৮ ওভারে এই স্কোর গড়ে ইংল্যান্ড। জবাবে প্রথম ইনিংসে লিড নিতে ব্যর্থ অস্ট্রেলিয়া। উসমান খোয়াজা শতরান করে গ্যাপ কমিয়েছিলেন। শেষ অবধি ৩৮৬ রানেই ইতি হয় অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ইনিংস। দ্বিতীয় ইনিংসে ইংল্যান্ডের বাজবল স্টাইল সমস্যার হয়ে দাঁড়ায়। মেঘলা আবহাওয়ার সুবিধা নিয়ে দ্রুত উইকেট তুলে নেন কামিন্সরা। তৃতীয় দিনে চা বিরতির আগেই বৃষ্টির জেরে দীর্ঘ সময় বন্ধ থাকে ম্যাচ। চতুর্থ দিন অবশ্য আবহাওয়া শুষ্ক। ফের বাজবলে মনসংযোগ করে ইংল্যান্ড। তাদের দ্বিতীয় ইনিংস শেষ হয় ২৭৩ রানে। অস্ট্রেলিয়ার জন্য লক্ষ্য দাঁড়ায় ২৮১ রান। প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ডের হয়ে শতরান করেছিলেন জো রুট। দ্বিতীয় ইনিংসে একটিও অর্ধশতরান নেই। জো রুট ও হ্যারি ব্রুক দু-জনেই ৪৬ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ৪টি করে উইকেট প্যাট কামিন্স ও নাথান লিয়ঁর। এটাই যেন ইতিবাচক দিক ইংল্যান্ড শিবিরের জন্য। পিচ থেকে পেসাররা যেমন সুবিধা পাচ্ছেন, স্পিনারও। ব্যাটিংয়ের জন্য অনবদ্য পিচ। ব্যাটার নিজে থেকে সুযোগ না দিলে উইকেট নেওয়া কঠিন। ইংল্যান্ডের জন্য স্বস্তির খবর, চতুর্থ দিনই ডেভিড ওয়ার্নার, মার্নাস লাবুশেন ও স্টিভ স্মিথকে প্যাভিলিয়নে পাঠিয়েছে তারা। স্টুয়ার্ট ব্রড দুটি এবং একটি উইকেট নেন ওলি রবিনসন। ২০০৫ সালে অ্যাসেজ সিরিজে এজবাস্টনে রুদ্ধশ্বাস জয় ছিনিয়ে নিয়েছিল ইংল্যান্ড। চতুর্থ ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ার লক্ষ্য ছিল ২৮২ রান। মাত্র ২ রানে জিতেছিল ইংল্যান্ড। এ বার অস্ট্রেলিয়ার লক্ষ্য ২৮১ রান। শেষ দিন অস্ট্রেলিয়ার প্রয়োজন আরও ১৭৪ রান। হাতে ৭ উইকেট থাকলেও এই রান তোলা সহজ নয়। পিচ থেকে স্পিনাররও যে ভাবে সুযোগ পাচ্ছেন, তাতে বড় ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়াতে পারেন মইন আলি। প্রথম ইনিংসে ২ উইকেট নিয়েছিলেন। শেষ দিনের পিচে কেরামতি দেখাতে পারলে অজিদের চাপ বাড়বে। পার্টটাইম স্পিনার রুটের গোল্ডেন আর্মও ভুললে চলবে না।