বড়দিনে শীতের দেখা না থাকলেও পারদ পতন বছর শেষে

এসে গেল বড়দিন। তবে দেখা নেই সেই হাড় কাঁপানো ঠাণ্ডার। আলিপুর আবহাওযা দপ্তর সূত্রে খবর বঙ্গোপসাগের তৈরি হওয়া ঘূর্ণাবর্ত বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে বড়দিনে শীতের আমেজ দিতে। আর এই বঙ্গোপসাগরে  সৃষ্টি হওয়া ঘূর্ণাবর্তের জেরেই বেড়েছে তাপমাত্রা। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর, শনিবার শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৪.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সকালে শীতের আমেজ থাকলেও বেলা বাড়তেই তাপমাত্রার পারদও বাড়তে থাকে। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর থেকে এদিন এও জানানো হয় যে, দুপুরের পর থেকে আর নিচে নামেনি তাপমাত্রা। রাতেও স্বাভাবিকের থেকে অনেক বেশি ছিল। আর এই পরিস্থিতি চলবে সোমবার পর্যন্ত। অর্থাৎ বড়দিনে কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গে এখনও জাঁকিয়ে শীতের কোনও দেখা মিলছে না। কারণ, তামিলনাড়ু উপকূলে বঙ্গোপসাগরের উপর একটি সিস্টেম রয়েছে। রবিবার বঙ্গোপসাগরে তৈরি হবে একটি উচ্চচাপ বলয়। এর ফলে রবিবার থেকে সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২ ডিগ্রি থেকে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বাড়বে। এর মাঝেও খুশির খবর হল, বুধবার থেকে তাপমাত্রা আবার নিম্নমুখী হবে। বছর শেষে ২৯ ও ৩০ ডিসেম্বর তাপমাত্রা ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি চলে আসবে কলকাতায়। গোটা রাজ্যেরই তাপমাত্রা নামবে বছর শেষে। উত্তরবঙ্গেও তাপমাত্রা ২৯ ডিসেম্বর থেকে কমতে শুরু করবে।

শনিবার আলিপুর আবাহওয়া দপ্তর এও জানায়, এদিন কলকাতায় ভোরের দিকে কুয়াশা থাকলেও বেলা যত বেডে়ছে ততত পরিষ্কার হয়েছে আকাশ। তবে এদিন সকালে ও রাতে শীতের আমেজটুকু অনুভব হয়েছে মাত্র। জলীয় বাষ্পের পরিমাণ থাকবে ৯৬ শতাংশ। শুক্রবার সকালে সর্বনিম্ন আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল ৪২ শতাংশ।

এরই পাশাাপশি দক্ষিণবঙ্গের বেশকিছু জেলায় তাপমাত্রা বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানায় আবহাওয়া দপ্তর। দক্ষিণবঙ্গের বেশকিছু জেলায় এদিন সকালে ও রাতে শীতের আমেজ পেয়েছে সাধারণ মানুষ। তবে বেলা বাড়তেই সেই ঠান্ডা কমতে থাকবে। তবে সোমবারের পর থেকে কমতে পারে তাপমাত্রা। ঘূর্ণাবর্তের কারণে উত্তুরে হাওয়া বঙ্গে প্রবেশ করছে না। এ কারণে রাজ্যে শীতের আমেজও সেভাবে লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। তাই আগামী কয়েকদিন আবহাওয়ার তেমন কোনও পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই বলে আবাহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

6 − four =