হঠাৎ-ই একলাফে দুই ডিগ্রি সেলাসিয়াস তাপমাত্রা বাড়ল কলকাতায়। গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে আগামী কয়েকদিন আরো বাড়তে পারে তাপমাত্রা, এমনটাই জানাচ্ছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। শুধু কলকাতা নয়, এই তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাবে পূর্ব ভারতের সব রাজ্যেই। কারণ, বঙ্গোপসাগর থেকে জলীয় বাষ্পে ঢুকছে রাজ্যে। এদিকে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে আকাশও থাকবে মেঘলা। এর ফলেই রাতের তাপমাত্রা বাড়ছে। তবে স্বস্তির কথা একটাই, মেঘলা আকাশ হলেও আপাতত বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।
একইসঙ্গে আবাহাওয়া দপ্তর সূত্রে জানানো হয়েছে, শনিবারে আংশিক মেঘলা আকাশ। দিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের নিচে। রাতের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের উপরে। আংশিক মেঘলা আকাশ হলেও বৃষ্টির কোন সম্ভাবনা নেই আগামী কয়েক দিন। শনিবার সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যেখানে শুক্রবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিকে বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ৫০ থেকে ৯২ শতাংশ।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় উত্তর তামিলনাড়ু উপকূলে অবস্থান করছে। শনিবার সকালে তা অতি গভীর নিম্নচাপ রূপে অবস্থান করে। শুক্রবার সকালে মান্দাস শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছিল। এরপর বিকেলের দিকে শক্তি হারিয়ে সাধারণ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়। সাধারণ ঘূর্ণিঝড় হিসেবেই রাত দেড়টা নাগাদ তামিলনাড়ুর মহাবলিপুরমের কাছে স্থলভাগে প্রবেশ করতে শুরু করে। তামিলনাড়ুর শ্রী হরিকোটা ও পুদুচেরির মাঝামাঝি মহাবলীপুরম দিয়ে এটি স্থলভাগে প্রবেশ করতে প্রায় দু ঘন্টা সময় নেয়। আপাতত এটি অতি গভীর নিম্নচাপ রূপে অবস্থান করলেও ক্রমশ শক্তি হারিয়ে শনিবার বিকেলের দিকে তা গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। এদিকে তামিলনাড়ু উত্তর উপকূল এবং রায়লসীমাতে এর প্রভাব সব থেকে বেশি পড়ছে। পুদুচেরি ও অন্ধ্রপ্রদেশের দক্ষিণ উপকূলের প্রভাব পড়েছে। ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি এবং সঙ্গে রয়েছে ৬০ থেকে ৭৫ কিলোমিটার গতি বেগে দমকা ঝড়ো হওয়া। শনিবার বিকেলের দিকে এই ঝড়ো হওয়া গতিবেগ কমে ৫০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টায় হতে পারে।