নিয়োগ দুর্নীতিতে সিবিআই-এর স্ক্যানারে তেহট্টের বিধায়ক তাপস সাহা

সিবিআই স্ক্যানারে আরও এক তৃণমূল বিধায়ক। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই আরও অস্বস্তিতে জোড়াফুল শিবির। নদিয়ার তেহট্টের তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহার বিরুদ্ধে চাকরি দেওয়ার নামে প্রায় ৫ কোটি টাকার প্রতারণা করার অভিযোগ উঠেছে। এদিকে আদালতেও প্রশ্ন ওঠে, এফআইআরে নাম থাকা সত্ত্বেও কেন তাপস সাহাকে গ্রেপ্তার করা হয়নি তা নিয়েও।
এরই প্রেক্ষিতে এবার হাইকোর্টে সিবিআই-এর দাবি, তারা তাপস সাহার মামলায় তদন্ত করতে আগ্রহী। তাঁদের হাতে বেশ কিছু প্রমাণ এসেছে বলেও সোমবার বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে দাবি করা হয় কেন্দ্রীয় সংস্থার তরফ থেকে। এদিকে আদালত সূত্রে খবর, এদিন অ্যাডভোকেট জেনারেল উপস্থিত না থাকায় রাজ্যের তরফে আবেদন করা হয়, মঙ্গলবার বেলা ২ টোয় শুনানি হোক। এরপরই আদালত সিবিআই-কে জানায়, শুনানি করে আদালত বিবেচনা করবে, এই মামলা তাদের হাতে দেওয়া হবে কি না। মঙ্গলবার ফের এই মামলার শুনানি রয়েছে। পাশাপাশি আদালত রাজ্যকে জানিয়ে দেয়, যদি কাল এজি না আসেন তাহলেও কালকেই এই মামলা শুনবে আদালত।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সাল থেকে চাকরি দেওয়ার নামে প্রায় ৫ কোটি টাকার প্রতারণা ওঠে তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে। দায়ের হয় মামলা। মামলাকারীর তরফ থেকে আদালতে জানানো হয়, বিধায়কের বিরুদ্ধে টাকা নেওয়ার অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পায় রাজ্য পুলিশের দুর্নীতি দমন শাখা। প্রতারণার অভিযোগে যে এফআইআর হয়, তাতে তাপস সাহা ছাড়াও তিনজনের নাম ছিল।
বাকি তিনজনকে গ্রেফতার করা হলেও তাপস সাহাকে কেন ছাড় দেওয়া হয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এদিকে সদ্য মুর্শিদাবাদ থেকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহাকে। এছাড়া গত বছর থেকেই জেলবন্দি রয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও মানিক ভট্টাচার্য। তাই এই মুহূর্তে সবার নজর মঙ্গলবারের শুনানির দিকেই। সঙ্গে এ প্রশ্নও উঠছে, তাপস সাহাকেও কি এবার সিবিআই তাদের হেপাজতে নেবে কি না তা নিয়েও।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

three × two =