মাদার অব অল ব্যাটল’। ক্রিকেটে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ, এ ভাবেই দেখা হয়। মঞ্চও প্রস্তুত। আমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হতে চলেছে ভারত-পাকিস্তান। বাবর আজমের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান প্রথম দু-ম্যাচেই জিতেছেন। একই বিন্দুতে টিম ইন্ডিয়াও। চিপকে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে মাত্র ২০০ রান তাড়া করতে নেমে টপ অর্ডার বিপর্যয় হলেও বিরাট কোহলি-লোকেশ রাহুল জুটি অনবদ্য জয় এনে দিয়েছে। বুধবার দ্বিতীয় ম্যাচে আফগানিস্তানকে ৮ উইকেটের বড় ব্য়বধানে হারিয়েছে টিম ইন্ডিয়া। রান তাড়ায় ১৫ ওভার বাকি থাকতেই জয়। ব্যাটিংয়ে রোহিত শর্মা একঝাঁক রেকর্ড, ‘নিজের’ মাঠে বিরাট কোহলির হাফসেঞ্চুরি, জসপ্রীত বুমরার অনবদ্য বোলিং। এ বার মিশন পাকিস্তান বধ। এর জন্য আমেদাবাদে পৌঁছে গেল টিম ইন্ডিয়া। রোহিতদের এ বার আরও বড় পরীক্ষা। প্রতিপক্ষ পাকিস্তান। তার চেয়েও বড় প্রতিপক্ষ প্রত্যাশার চাপ। বিশ্বকাপের সূচি প্রকাশের পরই অপেক্ষা ছিল এই ম্যাচের। শনিবার ভারত-পাকিস্তান। মানসিক প্রস্তুতি শুরু হয়েছিল অনেক আগেই। এশিয়ার সবচেয়ে বড় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ম্যাচ। ভারতীয় ক্রিকেটারদের জন্যও চ্যালেঞ্জ। এত সমর্থকের সামনে হাইভোল্টেজ ম্যাচে স্নায়ুর চাপ ধরে রাখা। যদিও ভারতীয় দলের ক্রিকেটারদের চোখে-মুখে কোনও চাপের অভিব্যক্তি নেই। দু-ম্যাচ জিতে খোশমেজাজেই রয়েছেন বিরাটরা। কড়া নিরাপত্তার চাদরে মোড়া আমেদাবাদ। এরই মাঝে দুপুর নাগাদ আমেদাবাদে পৌঁছে গেলেন বিরাট কোহলিরা। বিমানবন্দরে অনেকে সেলফি তোলারও চেষ্টা করেন ক্রিকেটারদের সঙ্গে। হাতে গোনা কয়েকজনের মনোবাসনাই পূর্ণ হল। জসপ্রীত বুমরা, রোহিত, অশ্বিন, হেড কোচ রাহুল দ্রাবিড়। একে একে সকলে এক্সিট গেটের দিকে বেরতোর পথে, একটা কথা বারবার শুনতে পেলেন, ‘অল দ্য বেস্ট’। এয়ারপোর্টে ধরা পড়েছে ভারতীয় ক্রিকেটারদের হাসি মুখের ছবি। চেনা সাংবাদিক দেখে কুলদীপ যাদব মজার মন্তব্যও ছুড়ে দিলেন। স্ত্রী নাতাশা ও ছেলে অগস্থকে সঙ্গে নিয়েই আমেদাবাদ পৌঁছেছেন হার্দিক পান্ডিয়া। তাঁর ‘নিজের’ শহরও বলা যায়। হার্দিককে নিয়ে বাড়তি উন্মাদনা থাকবে, এমনটাই প্রত্যাশিত।