মার্কিন মুলুকে প্রথম টি-২০ জিতেই সিরিজ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নামছে ভারত

ক্যারিবিয়ান থেকে এবার আমেরিকা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে পাঁচ ম্যাচের টি ২০ সিরিজ পাড়ি দিয়েছে মার্কিন মুলুকে। টরবায় প্রথম টি ২০ তে জিতেছিল ভারত। সেইন্ট কিটসে দ্বিতীয় ম্যাচে হার। ঘুরে দাঁড়াতে সময় লাগেনি। একই মাঠে তৃতীয় ম্যাচ জিতে সিরিজে ২-১ এগিয়ে ভারত। ফ্লোরিডার লাউডারহিলের ব্রোওয়ার্ড পার্ক স্টেডিয়ামে চতুর্থ টি ২০ তে মুখোমুখি ভারত-ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এই ম্যাচ জিতলেই সিরিজ ভারতের। পঞ্চম ম্যাচটিও একই মাঠে খেলা হবে পরপর। আজ এবং কাল।

তৃতীয় ম্যাচে ভারতীয় শিবিরে কিছুটা অস্বস্তি ছিল অধিনায়ক রোহিত শর্মার চোট। রান তাড়ায় নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই মাঠ ছাড়েন রোহিত। বোর্ডের তরফে জানানো হয়েছিল, রোহিতের ব্যাক স্প্যাজম হয়েছে। ম্যাচের আগের দিন নেটে চুটিয়ে ব্যাটিং করলেন রোহিত। চোট গুরুতর নয় বলেই মনে হচ্ছে। আজকের ম্যাচে রোহিত খেলবেন বলেই মনে করা হচ্ছে। একান্তই ঝুঁকি এড়াতে চাইলে, বিশ্রাম দেওয়া হতে পারে তাঁকে। সেক্ষেত্রে নেতৃত্ব দেবেন সহ অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া। রোহিত না খেললে ওপেনিংয়ে সূর্যকুমার যাদবের সঙ্গে ঈশান কিষাণকে দেখা যেতে পারে।

ভারতীয় দলে এখন সুস্থ প্রতিযোগিতা। একাদশে জায়গা পাওয়া কঠিন। সুযোগ পেলে কাজে লাগাতে মরিয়া সকলেই। দলের সিনিয়র সদস্য দীনেশ কার্তিক বলছেন, ‘এই মুহূর্তে ভারতীয় দলের যে বেঞ্চ স্ট্রেন্থ, তাতে আমরা দুটো কিংবা তিনটে দলও একসঙ্গে নামানোর ক্ষমতা রাখি। আমার মনে হয় না, খুব বেশি দেশের পরিস্থিতি এই জায়গায় রয়েছে।’ টি ২০ বিশ্বকাপের আর খুব বেশি দেরী নেই। স্কোয়াডে হয়তো সুযোগ পাবেন ১৫ জন। বর্তমানে যারা খেলছেন, তাদের অনেকেই সুযোগ পাবেন না বিশ্বকাপে। তাদের জন্য বিষয়টা দুর্ভাগ্যের হলেও ভারতীয় ক্রিকেটের জন্য ইতিবাচক দিক, বিকল্পের অভাব নেই। দলের মধ্যে একটা সুস্থ প্রতিযোগিতা রয়েছে। প্রত্যেকেই ভালো পারফরম্যান্স করতে মরিয়া। যারা বিশ্বকাপে সুযোগ পাবেন, অনেক দায়িত্ব থাকবে, জানাতে ভুললেন না দীনেশ কার্তিক। বলছেন, ‘যারাই বিশ্বকাপের স্কোয়াডে সুযোগ পাবে, এটুকু উপলব্ধি করতে হবে, দেশের প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পাবে। এটা গর্বের বিষয়। বিশ্ব মঞ্চে দেশের হয়ে নামার সুযোগ পাবে।’

দ্বিপাক্ষিক সিরিজে ভারতের পারফরম্যান্স খুবই ভালো। কিন্তু আইসিসি প্রতিযোগিতায় সাফল্য নেই দীর্ঘ সময়। শেষ বার ২০১৩ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিতেছে ভারত। এরপর ২০১৭ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনাল, উদ্বোধনী টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল, দু-বারই রানার্স হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে। ২০১৯ ওয়ান ডে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে বিদায়। সবচেয়ে হতাশার পারফরম্যান্স গত টি ২০ বিশ্বকাপে। আরব আমিরশাহিতে গ্রুপ পর্বেই বিদায় ভারতের। স্বাভাবিক ভাবেই এবারের টি ২০ বিশ্বকাপে মরিয়া হয়েই নামবে ভারত। বিশ্বকাপের প্রস্তুতি সম্পর্কে কার্তিক জানালেন, ‘কোনও একটা বিষয় দিয়েই এই ব্যর্থতা কাটানো যাবে না। অনেক কিছুই প্রয়োজন। ব্যাটিং, বোলিং কিংবা তাগিদের দিক থেকে আমরা সঠিক পথেই রয়েছি। পরিকল্পনার বাস্তবায়নও হচ্ছে। বহুদেশীয় প্রতিযোগিতায় একটু ভাগ্যেরও প্রয়োজন পড়ে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

20 − fourteen =