নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঁকুড়া: স্কুলের শিক্ষক নাকি শাসকদলের নেতা! আসেন না রোজ স্কুলে, কেউ কিছু বলতে গেলে গম্ভীর গলায় তাঁর দাবি, তিনি বুঝে নেবেন। এমনই অভিযোগে সকাল থেকে উত্তাল হল বাঁকুড়া এক নম্বর ব্লকের বাদুলাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়। বিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের অভিভাবকরা সকাল থেকে দফায় দফায় জমায়েত হয়ে স্কুল চত্বরে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। তাঁদের দাবি, রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে প্রায়ই স্কুলে আসেন না বাদুলারা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী এক শিক্ষক তোফিকুর রহমান। যিনি নাকি বাঁকুড়া জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি।
উল্লেখ্য, যেখানে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং বারংবার শিশু শিক্ষার বিষয়ে একাধিক প্রকল্প গ্রহণ করছেন, সেখানে এক ভিন্ন চিত্র ধরা পড়ল বাঁকুড়ার এই স্কুলে। অভিযোগ, শিক্ষক যিনি নাকি সমাজ গড়ার কারিগর তিনি গরহাজির স্কুলে। শুধু তাই নয়, গ্রামবাসীদের অভিযোগ, বাদুলারা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মোট আটজন শিক্ষক-শিক্ষিকা রয়েছেন, যার মধ্য তিনজন প্রায়ই কামাই করেন, তার মধ্যে একজন শাসকদলের নেতা। বিষয়টি নিয়ে আগেও স্কুলে এসে অভিযোগ জানালেও, কোনও সুরাহা মেলেনি। সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি বারংবার হয়েই চলেছে। এই ঘটনা যদি চলতে থাকে ভবিষ্যতে তাঁরা আরও বৃহত্তর আন্দোলন সংগঠিত করবেন বলে জানান অভিভাবকরা। ওই শাসকদলের শিক্ষক নেতা তোফিকুর রহমান অভিযোগ মানতে চাননি, তিনি ফোনে বলেন, ‘পুরো বিষয়টি আমি মিটিয়ে নেব।’
শিক্ষার জন্য বর্তমানে রাজ্য সরকার যেখানে বারংবার জোর দিচ্ছে, সেখানে মানুষ গড়ার কারিগরদের এই ধরনের উদাসীনতা প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে কোন পথে পশ্চিমবাংলার শিক্ষা ব্যবস্থা।