তাপসের এজেন্ট কামদুনির মৌসুমী, এমনটাই দাবি কুন্তলের

ফের এক বিস্ফোরক দাবি নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত বহিষ্কৃত তৃণমূল যুব নেতা কুন্তল ঘোষের। এবার তাঁর মুখে শোনা গেল কামদুনির প্রতিবাদী মৌসুমী কয়ালের নাম। একেবারে তাপস মণ্ডলের ‘এজেন্ট’ বলে মৌসুমী কয়ালের নাম বলেন তিনি। বৃহস্পতিবার কুন্তলকে তাপস মণ্ডলের সঙ্গে কোনও মহিলার আর্থিক লেনদেন হয়েছিল সে ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে কুন্তল জানান, ‘তাপসের অফিসে অনেক মহিলা কাজ করতেন। তাঁদের সঙ্গে নিশ্চয়ই এই আর্থিক লেনদেন হয়েছে। আমি যেটুকু জানতাম, মৌসুমি কয়াল ছিলেন তাপস মণ্ডলের এজেন্ট। কত টাকা তুলেছে জানি না।’ এদিনও কুন্তল দাবি করেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায় বা মানিক ভট্টাচার্যের সঙ্গে তাঁর কোনও সম্পর্ক ছিল না। তিনি যে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা শিকার তাও ফের বোঝানোর চেষ্টা করেন কুন্তল। এদিকে পার্থ,অর্পিতা, কুন্তল, কুন্তল জায়া জয়শ্রী, শান্তনু, হৈমন্তী, অয়ন, শ্বেতার পর কুন্তল ঘোষ সামনে নিয়ে এলেন মৌসুমী কয়ালের নাম। গোপাল দলপতির স্ত্রী হৈমন্তীকে যদিও এখনও ইডি তলব করেনি।
প্রসঙ্গত, ডিএলএড কলেজগুলির সংগঠনের সভাপতি ছিলেন তাপস মণ্ডল। মহিষবাথানে দীন দয়াল উপাধ্যায় কেন্দ্রীয় কারিগরি শিক্ষা প্রোজেক্টের এই অফিসেই কাজ করতেন মৌসুমী। তবে বেতন সংক্রান্ত জটে তাপসের অফিসের কাজ ছেড়ে দিয়েছিলেন কামদুনির প্রতিবাদী মুখ। গত ১৯ ফেব্রুয়ারি তাপস মণ্ডলকে গ্রেপ্তার করে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। সেই সময় তাপসের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ করেছিলেন মৌসুমী। তাঁকে আগেই তাঁকে কেন গ্রেপ্তার করা হল না তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন মৌসুমী। সঙ্গে এও বলেন, ‘অনেক বছর দেরি হয়ে গেল। এই রাজ্যে বিএড কলেজগুলিতে কাউন্সেলিংয়ের দায়িত্বে ছিলেন তাপস মণ্ডল। ওঁকে দায়িত্ব দিয়েছিলেন মানিক ভট্টাচার্য। তবে একা মানিক নন, এই দুর্নীতি কাণ্ডে আরও বড় বড় মাথা আছে। সেটা তদন্ত করলেই বেরিয়ে আসবে। অনেক কথা ওঁর পেটে আছে। কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন উনি। আমরা একসঙ্গে অনেকে কাজ ছেড়েছিলাম। কারণ কাজ করিয়ে টাকা দেননি উনি।’ এরই পাশাপাশি সিবিআই বা ইডি ডাকলে তিনি সহযোগিতা করবেন বলেও আশ্বস্ত করেছিলেন। কুন্তলের মন্তব্যের পর এদিন মৌসুমী বলেন, ‘কামদুনির ঘটনার পর আমার বিরুদ্ধে প্রচুর মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছিল। তখন যখন কিছু করতে পারেনি, এখনও তাহলে কেউ কিছু করতে পারবে না। কুন্তল ঘোষ মিথ্যা কথা বলছেন।’ একইসঙ্গে এ হুঁশিয়ারিও দেন, কুন্তল ঘোষের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করারও।
উল্লেখ্য, এদিনই সকালে কোর্টে পেশের সময় কুন্তল ঘোষকে ‘ম্যাজিশিয়ান‘ বলে বিদ্ধ করতে দেখা যায় তাপস মণ্ডলকে। নিয়োগ মামলায় ধৃত আরেক বহিষ্কৃত যুব তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ প্রমোটার অয়ন শীলকে তিনি চেনেন কিনা তার জবাবে তাপস বলেছিলেন, ‘কুন্তল ম্যাজিশিয়ান। ও সব জানে।’ এর কয়েক ঘন্টা বাদেই মৌসুমীকে নিয়ে এমনই এক বিস্ফোরক দাবি করেন এই কুন্তল। তবে মৌসুমী ইস্যুতে তাপসের বক্তব্য, এই অভিযোগের কোনও ভিত্তি নেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ten − six =