কলকাতা : কালীপুজো উপলক্ষ্যে রবিবার সকাল থেকেই পুজো দিতে লম্বা লাইন দক্ষিণেশ্বরে মন্দিরে। এদিন সকাল ৬টার কিছু পর থেকেই খুলে গিয়েছে দক্ষিণেশ্বরের মন্দিরের দরজা। কলকাতা বা পার্শ্ববর্তী এলাকার পাশাপাপাশি ভক্ত সমাগম হয়েছে ভিন রাজ্য থেকেও। সাধারণ মানুষ মনে করেন এদিন দক্ষিণেশ্বরের ভবতারিণী দেবী কালি করুণাময়ীরূপে মর্ত্যে নেমে আসেন। মানুষের সুখ-দুঃখের সঙ্গী হন। ভক্তদের মনস্কামনা পূরণ […]
Tag Archives: kali pujo
হুগলি জেলার মধ্যে কালীপুজোর সংখ্যা অসংখ্য। প্রচলিত প্রথার বাইরে গিয়ে সম্পূর্ণ নিজস্ব পদ্ধতিতে পুজো করে রীতিমতো সাড়া ফেলে দিয়েছেন এক বর্গক্ষেত্রীয় পুরোহিত ঠাকুর। এই পুরোহিত ঠাকুরের নাম কালীশঙ্কর সাঁতরা। বাড়ি হুগলি জেলার আরামবাগ মহকুমার রতনপুর গ্রামে। তবে এখন তিনি গ্রামের মন্দিরেই থাকেন। এদিন নিজস্ব ঘরনায় মায়ের সামনে কাঁচের ওপর নিত্য করার পর মা কালীর বুকে […]
নিশি রাতে রায় জমিদারের দেওয়া মা দক্ষিণাকালীর মঙ্গল ঘট মাথা করে নিয়ে এসে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন আরামবাগের হামিরবাটির বাসিন্দা তারাচাঁদ সর্বেশ্বর। এই ঘটনা প্রায় ৪৫০ বছর আগের। জমিদার বাড়ির পুরোহিত ছিলেন তারাচাঁদ সর্বেশ্বর। পরে এই বংশ ভট্টাচার্য পরিবার নামে খ্যাত হয়। গরিব ভট্টাচার্য পরিবারে মা দক্ষিণা কালীরূপে প্রতিষ্ঠিত হলেও কোনও সময়ই মায়ের মূর্তি প্রতিষ্ঠা হয়নি। ঘটে […]
মন্দির থেকে প্রায় দেড়শো মিটার দূরে রয়েছে কালিন্দী নদী। অমাবস্যার রাতে যখন শুরু হয় পাঁঠা বলি, সেই বলির রক্ত জলের মতো গড়িয়ে যতক্ষণ পর্যন্ত কালিন্দী নদীতে না মিশছে ততক্ষণ পর্যন্ত একনাগারে এক ডজন সেবাইত বলি দিয়ে যান। রাত থেকে শুরু হলেও সেই পাঁঠা বলি ভোর গড়িয়ে সকাল পর্যন্ত চলতে থাকে। এছাড়াও পায়রা, চালকুমড়ো বলিও দেওয়া […]
ব্যারাকপুর : উত্তর ২৪ পরগনা জেলার কাঁচড়াপাড়ার বাবু ব্লকে বনগাঁ রোডের ওপর অবস্থিত কুখ্যাত রঘু ডাকাতের স্মৃতি বিজড়িত পাঁচশো বছরের অধিক প্রাচীন কালীবাড়ি। কথিত আছে, অষ্টাদশ ও ঊনবিংশ শতাধীতে বাংলার প্রায় সর্বত্রই ডাকাতদের আস্তানা ছিল। তৎকালীন সময়ে জঙ্গলে ঘেরা কাঁচড়াপাড়ার বাবু ব্লক ছিল ডাকাত সর্দার রঘু ডাকাত ও তাঁর শাকরেদদের মুক্তাঞ্চল। এখানকার ইতিহাস বলছে, এখানে […]
হুগলি জেলার খানাকুলের ভট্টাচার্য বাড়ির ঐতিহ্যবাহি কালীপুজোকে ঘিরে রয়েছে নানা জনশ্রুতি ও ইতিহাস। আর কয়েকদিন পরেই কালীপুজো। ৫০২ বছর ধরে রীতিমেনে পুজোপাঠ হয়ে আসছে খানাকুলের ভট্টাচার্য বাড়ির দক্ষিণা কালীর। কথিত আছে, ৫০২ বছর আগে খানাকুলের রাধাবল্লভপুরে সন্ধ্যাবেলা একটি মেয়ে কালী মন্দিরে সন্ধ্যা দেখাতে এসে অদৃশ্য হয়ে যায়। চারিদিকে খোঁজাখুঁজি করেও মেয়েটিকে খুঁজে পাওয়ায় যায়নি। অবশেষে […]
হুগলির আরামবাগ মহকুমার বিভিন্ন জায়গায় নানা কালী মন্দির ঘিরে নানা জনশ্রুতি ও কথিত কাহিনি রয়েছে। আর মা কালীর মহিমায় সুখ শান্তি বিরাজ করে ওই সব এলাকায়। খানাকুলের রাধানগর এলাকার মা আনন্দময়ী কালী খুবই জাগ্রত এবং প্রসিদ্ধ। এই কালী মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন সাধক রামপ্রসাদ সেনের গুরুদেব কৃষ্ণানন্দ আগমবাগীশ। এমনটাই দাবি খানাকুলের আগমবাগীশ বংশের বর্তমান বংশের সৌরভ […]
অমাবস্যা তিথিতে কালীমাতার পুজোর পরেরদিন বিসর্জন দেওয়া হয় দেবী মূর্তির। মালদার বামনগোলা ব্লকের পাকুয়াহাট এলাকার আদি শ্যামা কালী মায়ের পুজো সংশ্লিষ্ট এলাকার জমিদারের হাত দিয়ে শুরু হলেও, বর্তমানে তা এখন সর্বজনীন। এই কালীপুজোকে ঘিরে এলাকার মানুষদের কাছে নানান কাহিনি প্রচলিত রয়েছে। প্রায় ২০০ বছরের পাকুয়াহাটের আদি শ্যামাকালী পুজো আজও প্রাচীন ঐতিহ্য মেনে হয়ে আসছে। এই […]
হুগলি জেলার আরামবাগের কালীপুর এলাকার চক্রবর্তী বাড়ির ঐতিহ্যবাহি কালীপুজোকে ঘিরে রয়েছে নানা ইতিহাস, যা আজও এলাকার মানুষের মনকে নাড়া দেয়। চক্রবর্তী বাড়িতে মা কালী সিদ্ধেশ্বরী রূপে পূজিত হন। মা সিদ্ধেশ্বরী রক্ষাকর্তা হিসাবে সর্বদা চক্রবর্তী বাড়ির প্রতিটি পরিবারকে পাহারা দিয়ে আসছেন। প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে শুরু করে রাতের অন্ধকারে ডাকাত দলও চক্রবর্তী বাড়ির কোনও ক্ষয়ক্ষতি করতে পারে […]
কালীপুজো মানেই আলোর উৎসব। সারা ভারতবর্ষের মানুষ দীপাবলিতে মেতে ওঠেন। ঘরে ঘরে জ্বলে আলো। সারা বাড়ি সাজানো হয় প্রদীপের আলো দিয়ে। তাই দীপাবলিতে মাটির প্রদীপের চাহিদা স্বাভাবিকভাবেই বেড়ে যায়। এই জন্য মৃৎশিল্পীদের ব্যস্ততা থাকে চরমে। কিন্তু আধুনিক যুগে এলইডি লাইটের চাপে হারিয়ে যেতে বসেছে মাটির প্রদীপের ঐতিহ্য। অথচ মাটির প্রদীপ তৈরি করতে কত পরিশ্রম করতে […]
- 1
- 2