অ্যাকাউন্ট নম্বর বদলে ট্যাবের টাকা গায়েব, তদন্তে লালবাজার

কলকাতা: অ্যাকাউন্ট নম্বর বদল করে ট্যাবের টাকা গায়েব! এমনই অভিযোগ পেয়ে এবার তদন্তে নামল লালবাজারের সাইবার ক্রাইম বিভাগ।
‘তরুণের স্বপ্ন প্রকল্পে’ স্মার্ট ফোন বা ট্যাব কেনার জন্য দশ হাজার টাকা পান রাজ্যের পড়ুয়ারা। অ্যাকাউন্ট নম্বর বদল করে সেই পুরো টাকা গায়েব হয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ। কীভাবে সম্ভব? জালিয়াতির পিছনে কোন চক্র? বাগমারির এক সরকারি স্কুলের তরফে জানানো হয়েছে, মোট ৬০ জন পড়ুয়ার নাম পাঠানো হয়েছিল স্কুলের তরফে শিক্ষা দপ্তরের পোর্টালের মাধ্যমে। এরপর নভেম্বর মাসে বাকি পড়ুয়াদের অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকলেও নয় জন পড়ুয়ার কাছে টাকা পৌঁছয়নি বলে ßুñল কর্তৃপক্ষই জানাচ্ছে।
তাদের দাবি, ৭ জনের অ্যাকাউন্ট নম্বর, ফোন নম্বর বদলে গিয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, এমন ঘটনা রাজ্যের বিভিন্ন ßুñলে ঘটছে। তদন্তকারীদের অনুমান, যাদের কাছে এই পাসওয়ার্ড আছে, সে সব ßুñল কর্মীরা এই জালিয়াতির সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারে। অথবা, অন্য কোনও বড় চক্রও পিছনে কাজ করতে পারে। তদন্ত করে দেখছে লালবাজারের সাইবার ক্রাইম বিভাগ।
রাজ্য শিক্ষা দপ্তরের এই প্রকল্পে স্মার্ট ফোন বা ট্যাব কেনার টাকা দেওয়া হয়। এই স্মার্ট ফোন বা ট্যাবের জন্য বরাদ্দ হয় ১০ হাজার টাকা। প্রকল্পের টাকা পান দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়ারা। শিক্ষা দপ্তরের নির্দিষ্ট পোর্টালে ßুñলকে আবেদন জানাতে হয়। সেখানে পড়ুয়ার নাম, ঠিকানা, ফোন নম্বর, অ্যাকাউন্ট নম্বর দিয়ে আবেদন করতে হয়। এই সব আবেদনের ভিত্তিতেই পড়ুয়াদের জন্য টাকা বরাদ্দ হয়। সরাসরি অ্যাকাউন্টে জমা পড়ে ১০ হাজার টাকা। কিন্তু অভিযোগ, বেশ কিছু ক্ষেত্রে অ্যাকাউন্ট নম্বর দিয়েও মাঝপথে টাকা হয়ে যাচ্ছে টাকা গায়েব।
বাগমারির ওই সংশ্লিষ্ট ßুñলের টিচার ইন চার্জ নিখিল কুণ্ডু বলেন, ‘অন্য কোনও কম্পিউটার থেকে পাসওয়ার্ড ও ফোন নম্বর বদলে দেওয়া হয়েছে। আমি কিছুই জানি না। ইতিমধ্যে আমি লালবাজার ও মানিকতলা থানায় অভিযোগ জানিয়েছি।’ এই বিষয়ে সাইবার বিশেষজ্ঞদের মত, ‘মধ্যশিক্ষা পর্ষদের পোর্টালের ভিতর ঢুকে কেউ যদি পাসওয়ার্ড বদলে জালিয়াতি করে ডেটা বদল করতে পারে, তাহলে আমাদের বুঝতে হবে সাইবার সিকিউরিটি সিস্টেম কতটা খারাপ।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eight − 5 =