রাজভবনের বাইরে ধরনায় বসতে চেয়ে পুলিশ কমিশনারকে চিঠি দিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তবে চিঠি দেওয়ার পর দীর্ঘ সময় কেটে যাওয়ার পরও অনুমতি না মেলায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে এবার প্রশ্ন তুলে দিলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা। বঙ্গ বিজেপি শিবির সূত্রে খবর, ভোট পরবর্তী হিংসায় আক্রান্তদের নিয়ে ১৯ জুন থেকে পাঁচদিন ধরনায় বসতে চান শুভেন্দু। আর এই প্রসঙ্গেই শুভেন্দুর প্রশ্ন, তৃণমূল পাঁচদিন ধরনার অনুমতি পেলেও তাঁদের কেন নয় তা নিয়েই। একইসঙ্গে শুভেন্দু এও জানান, রাজ্যপাল সময় দিলে রবিবার ভোট পরবর্তী হিংসায় আক্রান্ত ১০০ জনকে নিয়ে তিনি রাজভবনে যাবেন। এরই রেশ ধরে শুভেন্দু এও বলেন, ‘তৃণমূল কংগ্রেসকে ধরনা দেওয়ার জন্য পাঁচদিনের জন্য অনুমতি দিয়েছিল কলকাতা পুলিশ। আমি কলকাতার পুলিশের কমিশনারকে চিঠি দিয়েছি। এখনও পর্যন্ত সিপি কোনও রেসপন্স করেননি। আমি মঙ্গলবার আবার রিমাইন্ডার দেব ঠিক করেছি। আর রাজ্যপাল অনুমতি দিলে রবিবার একশো জন আক্রান্তকে নিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করব।’
শুভেন্দুর এই পদক্ষেপ নিয়ে তৃণমূল নেতা অরূপ চক্রবর্তী কটাক্ষ করে জানান, ‘ছোটবেলায় ময়ূরপুচ্ছ কাকের গল্প পড়েছিলাম। একবার একটা কাকের হঠাৎ করে ইচ্ছা হয়েছিল সে ময়ূর হবে। কিছু ময়ূরের পালক নিয়ে নিজের গায়ে লাগিয়ে ময়ূর সেজেছিল। কিন্তু, যখন একটা কাক কা কা করে ডেকেছিল তখন ওই কাকটাও ডেকে উঠেছিল। ধরা পড়ে গিয়েছিল। শুভেন্দু অধিকারীর ইচ্ছা হয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় হবেন। নকল করতে হবে। নিজস্বতা তো কিছু নেই। অভিষেক ধরনায় বসেছিল কেন্দ্র সরকার বাংলার প্রাপ্য টাকা আটকে রেখেছিল বলে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার তো আটকে রাখে না, টাকা দেয়। তাই বলব নকল না করে নিজস্ব রাজনীতি করুন। আসলে ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যে বিজেপি তাঁদের নতুন রাজ্য সভাপতির নাম জানাবে। সেখানে লড়াইয়ে টিকে থাকতে হবে তো। তাই এসব করছে।’