কেন্দ্রীয় সরকারের উচিত ৩৫৬ ধারা প্রয়োগ করা, দাবি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দুর

কেন্দ্রীয় সরকারে উচিত ৩৫৬ ধারা প্রয়োগ করে পুলিশের ক্ষমতা নিয়ে নেওয়া। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্নতে বসে থাকুন, ডিয়ার লটারি বেচুক, মানুষে ৫০০ টাকা ভাতা দিক। আমাদের কোনও আপত্তি নেই। ২০২৬ সালে ওনাকে আমরা হারাব। রবিবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় নিজের বিধানসভা কেন্দ্র নন্দীগ্রামে ভারতী জনতা পার্টির বিরুলিয়া অঞ্চল সম্মেলন  থেকে এমনই বার্তা দিতে দেখা গেল বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। প্রসঙ্গত, শনিবার কোচবিহারের দিনহাটায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের কনভয়ে হামলার ঘটনায় উত্তপ্ত রাজ্য রাজনীতি। রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়েও বড় প্রশ্ন তুলে দিয়েছে বিজেপি। আর এই প্রসঙ্গেই রাজ্যে ফের শুরু হয়েছে ৩৫৬ ধারা প্রয়োগ নিয়ে চর্চা।  ঠিক সেই সময়েইএই প্রসঙ্গে এমনই এক তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করতে দেখা যায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। শুধু নিশীথ প্রামাণিকের ওপর আক্রমণই নয়, এর পাশাপাশি ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির গ্রেপ্তারি নিয়েও এদিন ফের একবার প্রশ্ন তুলতে দেখা যায় শুভেন্দুকে।

শনিবার স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথের কনভয়ে হামলা প্রসঙ্গে শুভেন্দু জানান, ‘স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জেড ক্যাটেগরি নিরাপত্তা পাওয়া সত্ত্বেও তাঁর নিরাপত্তা নেই।একজন বিধায়ককে জেলে বন্দি করে রাখা হয়েছে। আমরা আদর্শগতভাবে নওশাদ সিদ্দিকিদের পার্টি সমর্থক নই, এমনকী তাঁদের বক্তব্যেরও বিরোধী। কিন্তু একজন সম্মানীয় বিধায়ককে তিন মাস ধরে বিনা কারণে জেলে রেখেছে। অবিলম্বে কেন্দ্রের উচিত ৩৫৬ ধারা প্রয়োগ করে পুলিশের ক্ষমতা নিয়ে নেওয়া।’ এরই রেশ ধরে শুভেন্দু এদিন এও বলেন, ‘রবিবারই আমি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে ইমেল মারফত জানিয়েছি যে, ৩৫৫ ধারা প্রয়োগ করে আপনি অন্তত দিনহাটা থানার ক্ষমতা নিয়ে নেন। কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হোক ওখানে। রাতে বিজেপি কর্মীদের বাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে, লুঠ করা হয়েছে।সোমবার নিশীথ প্রামণিক প্রসঙ্গ আমি কলকাতা হাই কোর্টে উল্লেখ করব।’

এরই পাশাপাশি উঠে আসে ডিএ নিয়ে আন্দোলনের প্রসঙ্গও। কারণ, বেশ কিছুদিন ধরে কেন্দ্রীয় হারে ডিএ-র দাবিতে আন্দোলন করছেন সরকারি কর্মীদের একাংশ। রাজ্যে বাজেটে আরও ৩ শতাংশ হারে ডিএ ঘোষণার পরও আন্দোলন তুলে নিতে রাজি নন সরকারি কর্মীরা। এদিন এই প্রসঙ্গে শুভেন্দু জানান, ‘আন্দোলন আরও তীব্র থেকে তীব্রতর হবে।১০ মার্চের ধর্মঘট সর্বতভাবে সফল করার আবেদন করছি। প্রতিদিন অনেক মানুষ আন্দোলনে যুক্ত হচ্ছে। এই আন্দোলনের শেষে যেমন ডিএ পাবেন।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

18 − seventeen =