টস জিতে রান তাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ভারত অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব। বৃষ্টি থাবা বসায় ভারত-শ্রীলঙ্কা দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে। ম্যাচ শুরুর আগেই অবশ্য ভারতীয় শিবিরে অস্বস্তি। ভাইস ক্যাপ্টেন শুভমন গিলের নাকে চোট। ফলে তাঁকে খেলানো যায়নি। পরিবর্তে একাদশে আসেন সঞ্জু স্যামসন। সুযোগ অবশ্য কাজে লাগাতে পারলেন না সঞ্জু। প্রথমে ব্যাট করে শ্রীলঙ্কা। বৃষ্টির পর ম্যাচ। পিচে সহযোগিতা পেলেন স্পিনাররাও। ভারতের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৬১ রান করে শ্রীলঙ্কা। যদিও বৃষ্টির কারণে ম্যাচ ছোট হয়ে দাঁড়ায়।
বোর্ডে টার্গেট ছিল ১৬২। ভারতীয় ইনিংসের তৃতীয় ডেলিভারিতেই ফের বৃষ্টি। ডাকওয়ার্থ লুইসে ভারতের পরিবর্তিত টার্গেট দাঁড়ায় ৮ ওভারে ৭৮ রান। শুভমনের জায়গায় সুযোগ পাওয়া সঞ্জু স্যামসন গোল্ডেন ডাক। যশস্বীর সঙ্গে ক্রিজে যোগ দেন ক্যাপ্টেন সূর্যকুমার যাদব। এই জুটি বিধ্বংসী হয়ে দাঁড়ায়। সূর্যকুমার যাদব স্পিনের বিরুদ্ধে বসে বসেই শট খেললেন। মাত্র ১২ বলে ২৬ রানের স্কাইয়ের।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি হাজার রানের মাইলফলক পেরিয়ে যান যশস্বী জয়সওয়াল। দুর্দান্ত ব্যাটিং করছিলেন। যদিও ম্যাচ ফিনিশ করে আসতে পারেননি। ১৫ বলে ৩০ রানের জ্যাজবলে ফেরেন যশস্বীও। মাতিসা পাথিরানা সাময়িক চাপে ফেললেও হার্দিক-ঋষভ পন্থ জুটি পাল্টা দেয়। ক্রমশ ভারত টার্গেটের দিকে পৌঁছতে থাকে। ৬.২ ওভারেই স্কোর সমান হয়ে যায়। ম্যাচ এবং সিরিজ জয় তখন শুধুই সময়ের অপেক্ষা। হার্দিক পান্ডিয়ার ব্যাটেই উইনিং রান। বাউন্ডারি মেরে ম্যাচ ফিনিশ করেন হার্দিক।
তিন ম্যাচের সিরিজ। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ডিএলএসে ৭ উইকেটে জয় ভারতের। সঙ্গে ২-০ সিরিজও নিশ্চিত। এ বার লক্ষ্য ক্লিনসুইপ করা। প্রথম ম্যাচে ভারতের বেশ কিছু অস্বস্তির জায়গা ছিল। বিশেষ করে শুরুর দিকের বোলিংয়ে। দ্বিতীয় ম্যাচে সেই সমস্যা কাটিয়ে উঠল ভারত।