আইনি জটিলতায় ধোনি, আম্রপালি মামলায় সুপ্রিম কোর্টের নোটিস ‘ক্যাপ্টেন কুল’কে

মহেন্দ্র সিং ধোনিকে নোটিস পাঠাল সুপ্রিম কোর্ট। সোমবার নোটিস পাঠিয়ে শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, আপাতত আম্রপালি গ্রুপ মামলায় শুনানি স্থগিত রাখা হবে। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে সুপ্রিম কোর্টে প্রতারণার অভিযোগ করে আম্রপালি গ্রুপের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিলেন ধোনি। ওই সংস্থার কাছে প্রায় ৪২ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে ভারতীয় দলের প্রাক্তন অধিনায়কের। এর আগে অভিযুক্ত সংস্থার বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপের তদন্ত করতে ইডিকে নির্দেশ দিয়েছিল শীর্ষ আদালত।
মামলাটি খতিয়ে দেখতে ফরেন্সিক অডিটর নিয়োগ করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। তাদের পেশ করা রিপোর্টে বলা হয়েছে, ধোনিকে প্রোমোট করা রীতি স্পোর্টসের সঙ্গে ‘শ্যাম এগ্রিমেন্ট’ করেছিল আম্রপালি গ্রুপ। প্রসঙ্গত, শ্যাম এগ্রিমেন্টে সবসময় আইনি স্বচ্ছতা বা বাধ্যবাধকতার কথা উল্লেখ করা থাকে না। ফলে এই চুক্তি সই করার পরে প্রতারিত হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই বেড়ে যায়। সেই এগ্রিমেন্টের বলেই ধোনিকে প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত করার সুযোগ রয়েছে।
শীর্ষ আদালতে দুই বিচারপতির বেঞ্চ সোমবার জানিয়েছে, এই ঘটনায় স্বতোঃপ্রণোদিত উদ্যোগ নেবে সুপ্রিম কোর্ট। আম্রপালি সংস্থার মাধ্যমে যাঁরা বাড়ি কিনতে চেয়েছিলেন, তাঁরা যেন সঠিক সময়ের মধ্যে বাড়ির মালিকানা পেয়ে যান, সেদিকে নজর রাখবে সুপ্রিম কোর্টের নিযুক্ত রিসিভার। ২০১৯ সালে দিল্লি হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি বীনা বীরবলকে এই মামলার একমাত্র আইনজীবী হিসাবে নিযোগ করা হয়েছিল ধোনির তরফে। সেই প্রসঙ্গ উল্লেখ করে শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, যেহেতু তাড়াতাড়ি বাড়ি তৈরির কাজ শেষ করতে হবে আম্রপালি সংস্থাকে, তাই তাদের পক্ষে আদালতের বিচার প্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়া সম্ভব হবে না। তাই আপাতত শুনানি স্থগিত রাখতে চেয়ে অনুরোধ জানানো হয়েছে মাহিকে।
২০১৯ সালে আম্রপালি সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ করে ধোনি জানিয়েছিলেন, তাঁকে সংস্থার মুখ হিসাবে ছয় বছরের জন্য নিয়োগ করা হয়েছিল। সংস্থার প্রস্তাবে রাজি হয়ে রাঁচিতে একটি পেন্টহাউসও বুক করেছিলেন তিনি। কিন্তু সমস্ত আর্থিক লেনদেন মিটে যাওয়ার পরেও বাড়ির মালিকানা পাননি তিনি। অন্যদিকে সংস্থার মুখ হিসাবে চুক্তি শেষ হয়ে গেলেও বকেয়া ৪২ কোটি ২২ লক্ষ মেটায়নি আম্রপালি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

five + 11 =