জিতেন্দ্র তিওয়ারি মামলায় শীর্ষ আদালত হস্তক্ষেপ করেই একটি নোটিস জারি করে রাজ্য সরকারের জবাব তলব করল। পাশাপাশি আসানসোল পুরসভার দুই কাউন্সিলর গৌরব গুপ্তা এবং তেজপ্রতাপ সিংয়ের সম্ভাব্য গ্রেপ্তারির ওপরেও স্থগিতাদেশ জারি করা হয়। নয়ডা এক্সপ্রেসওয়ে থেকে জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে ‘কিডন্যাপ’ করেছে রাজ্য পুলিশ। এই দাবি করে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন জিতেন্দ্র তিওয়ারির আইনজীবী পি এস পাটোয়ালিয়া। সেই মামলাতেই সোমবার এই নির্দেশ দেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, যমুনা এক্সপ্রেসওয়ে থেকে শনিবার বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে গ্রেপ্তার করে আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট। তারপরে তাঁকে দিল্লি নিয়ে যাওয়া হয়। আসানসোল কমিশনারেটের বিশেষ দলকে দিল্লি পুলিশ জানায়, তাদের অনুমতি ছাড়া এ ভাবে কাউকে গ্রেপ্তার করা বেআইনি। এরপরই বিজেপির তরফ থেকে জিতেন্দ্রর এই গ্রেপ্তারি নিয়ে ‘অপহরণ’ তত্ত্ব আদালতে সামনে আনে। পালটা আসানসোল দুর্গাপুর কমিশনারেটের পুলিশ যাবতীয় কাগজপত্র দেখিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করে, তারা যা করছে, তা আদালতের নির্দেশে ও আইন মেনেই করেছে।
প্রসঙ্গত, গত ১৪ ডিসেম্বর আসানসোলের রামকৃষ্ণ ডাঙাল এলাকায় শিবচর্চা ও কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তথা জিতেন্দ্র তিওয়ারির স্ত্রী চৈতালি তিওয়ারি। অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। তিনি সেখান থেকে চলে যাওয়ার পর কম্বল নেওয়ার জন্য রীতিমতো হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। বহু মানুষ কম্বল নেওয়ার জন্য সেখানে উপস্থিত হয়েছিলেন । চরম বিশৃঙ্খলার পরিস্থিতি তৈরি হয়। কম্বল নিতে গিয়ে পদপিষ্ট হয়ে একাধিক মানুষ হাত হন।
এই ঘটনায় আহত হয়ে দুই মহিলা সহ এক কিশোরীর মৃত্যু হয়। ঘটনায় জিতেন্দ্র তিওয়ারি সহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে আসানসোল দক্ষিণ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন মৃত মহিলা ঝালি বাউরির ছেলে সুখেন বাউরি। এই মামলাতেই গ্রেপ্তার করা হয় জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে।