নয়াদিল্লি : বাংলাদেশি সন্দেহে দেশ জুড়ে বহু সন্দেহভাজনকে আটক করা হচ্ছে। পুলিশের বিরুদ্ধে ‘অতিসক্রিয়তা’র অভিযোগ তুলে আটক করা বন্ধ রাখার আবেদন জানিয়ে জনস্বার্থ মামলা হয় সুপ্রিম কোর্টে। বৃহস্পতিবার এই আবেদনের ভিত্তিতে কোনও অন্তবর্তিকালীন নির্দেশ দিতে অস্বীকার করেছে বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর বেঞ্চ।
কেউ কেউ অভিযোগ তোলার চেষ্টা করছে, বাংলায় কথা বললেই বাংলাদেশি সন্দেহে আটক করছে পুলিশ। বাংলাদেশি সন্দেহে দিল্লিতে আটক করা হচ্ছে বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিকদের৷ এমনকি, তাঁদের পরিচয় পত্রও দেখা হচ্ছে বলে অভিযোগ৷ বিষয়টি নিয়ে বিজেপি শাসিত কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার৷ কলকাতা পুলিশের তরফেও পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য চালু করা হয়েছে হেল্পলাইন৷
তবে আদালত এ দিন স্পষ্ট জানিয়েছে, যদি এ ক্ষেত্রে কোনও অন্তবর্তী নির্দেশ দেওয়া হয়, তবে বাংলাদেশ থেকে বৈধ নথি-সহ এ দেশে এসেছেন যাঁরা, তাঁদের সমস্যা হতে পারে। এই অভিযানের জেরে যাঁরা সত্যি সত্যি বেআইনি অনুপ্রবেশকারী, যাঁরা লুকিয়ে ভারতে ঢুকে সাধারণ ভারতীয়ের ভিড়ে মিশে যাচ্ছে, তাদের আলাদা করে চিহ্নিত করা যাবে৷ তবে পাশাপাশি, সত্যিকারের ভারতীয় পরিযায়ী শ্রমিকদের চিহ্নিত করার উপর জোর দিয়েছে শীর্ষ আদালত৷
অন্তবর্তী নির্দেশ না-দিলেও মামলার শুনানিতে কোনও আপত্তি জানায়নি সুপ্রিম কোর্ট। শুধু তা-ই নয়, কেন্দ্র এবং রাজ্যগুলিকে নিজেদের বক্তব্য জানাতে বলেছে সুপ্রিম কোর্ট।

