‘সিনেমা হল জিম নয়। বাইরে থেকে আর খাবার নিয়ে ঢোকা যাবে না’, বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিল প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।সিনেমা হল কর্তৃপক্ষের বাইরে থাকা আনা খাবারের উপর নিয়ন্ত্রণের অধিকার রয়েছে বলেও এদিন ফের একবার মনে করিয়ে দেয় শীর্ষ আদালত।সেই সঙ্গে সিনেমা হলে খাবার নিয়ে প্রবেশের ক্ষেত্রে অনুমতি দেওয়ার জন্য জম্মু ও কাশ্মীর হাই কোর্টকে ভর্ৎসনাও করেন বিচারপতিরা।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ১৮ জুলাই একটি মামলায় সিনেমা হলে খাবার নিয়ে ঢোকার ক্ষেত্রে ছাড়পত্র দেয় জম্মু ও কাশ্মীরের হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে শিশুদের জন্য বিনামূল্যে খাদ্য ও পানীয় জল সরবারহের নির্দেশ দেয়।হাইকোর্টের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জে করে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের ডিভিশন বেঞ্চে একটি পিটিশন দাখিল করা হয়। এই মামলার শুনানিতেই ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, ‘সিনেমা হল কোনো জিম নয় যে আপনার স্বাস্থ্যকর খাবারের প্রয়োজন। এটি একটি বিনোদনের জায়গা।এছাড়া সিনেমা হল হচ্ছে ব্যক্তিগত সম্পত্তি।’
এরই পাশাপাশি জম্মু ও কাশ্মীর হাইকোর্টকে ডিভিশন বেঞ্চ এ প্রশ্নও করে, ‘অস্ত্র নিয়ে সিনেমা হলে যাওয়ার অনুমতি নেই অথবা সেখানে জাতি বা লিঙ্গভেদও নেই, এটা খুব ভালো। কিন্তু হাই কোর্ট কীভাবে বলতে পারে যে সিনেমা হলের ভিতর খাবার আনতে পারে?’ শীর্ষ আদালত রায় দিতে দিয়ে আরও জানায় যে সমস্ত দর্শকের অধিকার আছে তিনি কোন চলচ্চিত্রটি দেখার জন্য কোন হলকে বেছে নেবেন। তেমনি, সিনেমা হলগুলিরও অধিকার রয়েছে নিয়ম চালু করার।
এরই রেশ টেনে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, সিনেমা হলের ভিতর কেউ যদি জিলিপি খেতে শুরু করলে, তা বারণ করার অধিকার আছে হল কর্তৃপক্ষের।কারণ, দর্শকরা তাঁদের আঠালো আঙুলগুলো সিটের উপর মুছে দেয়। আর এখানেই প্রধান বিচারপতির প্রশ্ন, এর পরিস্কারের খরচ কে দেবে তা নিয়ে। একইসঙ্গে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি পিএস নরসিমহা এও জানান, কেউ তন্দুরি চিকেন খেয়ে হাড়গুলি হলের মধ্যে ফেলে দিলে তা অন্যের অসুবিধার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। তবে, হলে বিনামূল্যে জল সরবারহের ওপর এদিন জোর দেন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ।তাঁদের মতে, জল বয়ে আনা অনেক সময় দর্শকদের কঠিন হয়ে দাঁড়ায়।