প্রায় আড়াই মাস পরে জামিন পেলেন সমাজকর্মী তিস্তা শেতলবাদ। শুক্রবার সুপ্রিম কোর্ট গুজরাতের জঙ্গি দমন শাখার (এটিএস) হাতে ধৃত তিস্তার আবেদনে সাড়া দিয়ে অন্তর্বর্তী জামিন মঞ্জুর করেছে। প্রধান বিচারপতি ইউ ইউ ললিতের বেঞ্চ গুজরাত পুলিশের তদন্তে সহযোগিতা করার নির্দেশ দিয়েছেন তিস্তাকে। ২০০২ সালের গোধরা পরবর্তী গুজরাত দাঙ্গা নিয়ে ষড়যন্ত্রমূলক প্রচার চালানোর অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল তাঁকে।
অন্তর্বর্তীকালীন জামিনের সঙ্গে তিস্তাকে আরও বলা হয়েছে, আদালতের কাছে পাসপোর্ট জমা রাখতে হবে তাঁকে। তদন্তকারী অফিসারদের সঙ্গে তাঁকে সহযোগিতা করতে হবে, এই আদেশও দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। কিন্তু শুক্রবার শীর্ষ আদালতের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, তিস্তাকে সম্পূর্ণরূপে জামিনে মুক্ত করা যায় কিনা, সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে গুজরাত হাইকোর্ট। তিস্তার মামলা সংক্রান্ত কোনও ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্ট হস্তক্ষেপ করবে না। এমনকী শীর্ষ আদালতের কোনও নির্দেশেরও কোনও প্রভাব থাকবে না গুজরাত আদালতের তদন্তে।
টানা দু’মাস জেলে রাখা হয়েছিল সমাজকর্মী তিস্তা শেতলবাদকে। সেই বিষয়ে গতকালই উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি ইউইউ ললিত (UU Lalit) বলেন, ‘এটি এমন কোনও অপরাধের মামলা নয়, যার জন্য জামিন দেওয়া যাবে না’, তাছাড়া তিনি একজন মহিলা। দু’মাস ধরে জেলে রয়েছেন। অথচ আজ অবধি তাঁর বিরুদ্ধে চার্জশিট তৈরি করা গেল না। অন্য দুই বিচারপতি এস রবীন্দ্র ভাট ও বিচারপতি সুধাংশু ধুলিয়াও বলেন, তিনি একজন মহিলা। কী করে একটি আদলত ছয় সপ্তাহ পরে অভিযুক্তের জবাবদিহি চাইতে পারে?
এর পরেই আইনজীবীদের একাংশ মনে করেছিলেন, তিস্তার জামিন পাওয়ার সম্ভাবনা জোরালো হয়েছে। শুক্রবার সেই অনুমান মিলে গিয়েছে। উল্লেখ্য, গুজরাত পুলিশের জঙ্গিদমন শাখার (এটিএস) হাতে তিস্তার গ্রেপ্তারি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে রাষ্ট্রসংঘও।