‘যতক্ষণ আদানি-হিন্ডেনবার্গ ইস্যু নিয়ে মামলা বিচারাধীন রয়েছে, ততক্ষণ এই নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করতে কোনও বাধা নেই।‘ শুক্রবার এমনটাই রায় দিল শীর্ষ আদালত। কারণ, মার্কিন সংস্থা হিন্ডেনবার্গ গৌতম আদানির সংস্থা নিয়ে রিপোর্ট প্রকাশ্যে আনার পর থেকেই এই ইস্যুতে উত্তাল হয়ে ওঠে গোটা দেশ। এই ঘটনায় সংবাদমাধ্যমে প্রতিনিয়ত প্রকাশিত রিপোর্ট নিয়ে আপত্তি তুলে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন এক আইনজীবী। তবে শুক্রবার সেই দাবি খারিজ করে দেয় দেশের শীর্ষ আদালত। এদিন মামলার শুনানির সময় দেশের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় জানান, ‘আমরা আমাদের নির্দেশ দেব। মিডিয়াকে এই নিয়ে কোনও আদেশ আমরা দিতে পারি না।‘
প্রসঙ্গত, আদানি ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কিংবা কেন্দ্রের তরফে জবাবদিহি চেয়ে সংসদে সরব হয়েছিলেন বিরোধীরা।’ এমনকী এই ইস্যুতে ‘মৌনীবাবা’ কটাক্ষও শুনতে হয় নরেন্দ্র মোদিকে। কারণ, রাজ্যসভা কিংবা লোকসভার ভাষণেও এই ইস্যু নিয়ে একটা শব্দও খরচ করতে দেখা যায়নি প্রধানমন্ত্রীকে। তবে আদানি বিতর্কে মুখ খুলেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। অমিত শাহ গৌতম আদানির সংস্থার উপর ওঠা হিন্ডেনবার্গের অভিযোগ নিয়ে মন্তব্যও করেন। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এও বলেন, ‘একটি একটি বিচারাধীন বিষয়। আদানি ইস্যু বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। তাই এই নিয়ে আমি কোনও মন্তব্য করব না।‘ এরপরই শাহ ভারতবাসীকে আশ্বাস দিয়ে জানান, ‘তবে আমি এটুকু বলতে পারি বিজেপির কিছু লোকানোর নেই অথবা ভয় পাওয়ার নেই।’
প্রসঙ্গত, গত ২৪ জানুয়ারি মার্কিন শর্ট-সেলার হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ গৌতম আদানির সংস্থার উপর একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে। তাতে আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে শেয়ার কারচুপি, বিপুল অঙ্কের ঝুঁকিপূর্ণ ঋণের অভিযোগ তোলা হয়। সেই রিপোর্ট প্রকাশের পর থেকে দ্রুত হারে নেমে গিয়েছে আদানি গোষ্ঠীর একাধিক শেয়ার।