স্বস্তিতে রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটক। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে আপাতত মলয় ঘটকের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করতে পারবে না ইডি। এদিকে মলয় ঘটককে বারবার তলব করছে ইডি। তার বিরোধিতা করে আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি। মন্ত্রীর আইনজীবী এদিন আদালতে সওয়াল করেন, তদন্তে পূর্ণ সহযোগিতা করছেন মন্ত্রী। এদিন শুনানির পর বিচারপতি অনীশ দয়ালের বেঞ্চ মামলাটি পরবর্তী শুনানির জন্য রোস্টার বেঞ্চে পাঠান। ফলে দিল্লি হাইকোর্টে সাংসদ-বিধায়কদের জন্য সুনির্দিষ্ট বেঞ্চই হবে মলয় ঘটকের ইডির বিরুদ্ধে আবেদনের মামলা শুনানি।
এদিকে সুপ্রিম কোর্ট সূত্রে খবর, বর্তমানে মলয় ঘটক একজন বিধায়ক। সেই কারণে তাঁর মামলা শুনানি করলেন না দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি অনীশ দয়াল। উপযুক্ত কোর্টে মামলা পাঠানোর নির্দেশ দেন তিনি। পরবর্তী শুনানি না হওয়া পর্যন্ত মলয় ঘটককে নতুন করে তলব করবে না এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। কোর্টে মলয় ঘটকের আইনজীবির আবেদনের প্রেক্ষিতে মৌখিক আশ্বাসও মেলে ইডির আইনজীবীর তরফ থেকে। এদিন শুনানি চলাকালীন মলয় ঘটকের আইনজীবী জানান, তিনি তদন্তে সহযোগিতা করছেন। ইডির তলবে সাড়া দিয়ে হাজিরাও দিয়েছেন। একাধিক কাগজপত্র চেয়েছিল ইডি। সব নথি জমা দিয়েছেন তিনি। তবু ছয় থেকে সাতবার তলব করা হয়েছে তাঁকে। তিনি রাজ্যের আইনমন্ত্রী। যেদিন দেশের রাষ্ট্রপতি কলকাতায় যাচ্ছেন, সেদিন তাঁকে ডাকা হচ্ছে। এদিকে যেদিন প্রধান বিচারপতি শপথ নেবেন, সেদিনও তাঁকে ডাকা হচ্ছে। এমন দিন বেছে বেছে তাঁকে তলব করা হচ্ছে যেদিন তাঁর পক্ষে হাজিরা দেওয়া সম্ভব নয়। এরই প্রেক্ষিতে পরবর্তী শুনানিরর দিন পর্যন্ত যাতে মলয় ঘটকের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া না হয় তার জন্য আর্জি জানান তার আইনজীবী। একইসঙ্গে মলয় ঘটকের আইনজীবী এও দাবি করেন, এখনও পর্যন্ত মলয় ঘটক অভিযুক্ত নন। এর আগে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে সিবিআই-এর মুখোমুখি হন মলয় ঘটক। তাঁর ডালহৌসির সরকারি বাসভবনে যান কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দারা। সেখানেই তাঁকে টানা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। শুধু তাই নয়, আসানসোল এবং কলকাতায় মলয়ের আরও পাঁচটি বাড়িতেও তল্লাশি অভিযান চালায় সিবিআই।