১১ এপ্রিল ডিএ মামলায় সুপ্রিম কোর্টে শুনানি

বহু প্রতীক্ষিত ১১ এপ্রিল। কারণ এই আগামী ১১ এপ্রিল অর্থাৎ মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে ডিএ সংক্রান্ত স্পেশাল লিভ পিটিশনের শুনানি হতে চলেছে বিচারপতি দীনেশ মাহেশ্বরী এবং সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চে। এদিকে বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি অবশ্য ডিএ আন্দোলনকারীদের সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসার পরামর্শ দেন। পাশাপাশি প্রধান বিচারপতি এও জানান, লাগাতার ধর্মঘট, কর্মবিরতি চলতে পারে না। আগামী ১৭ তারিখের মধ্যে রাজ্য সরকারি কর্মীদের তিন প্রতিনিধি সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসতে পারেন, এই পরামর্শও দেন তিনি। এরপরেই সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের তরফে জানানো হয়, তারা আলোচনায় যেতে রাজি।
এদিকে মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে শুনানি প্রসঙ্গে সরকারি কর্মচারি পরিষদের সভাপতি দেবাশিস শীল জানান, ‘আমরা আশাবাদী রাজ্য সরকারের দায়ের করা স্পেশাল লিভ পিটিশন খারিজ হয়ে যাবে। রাজ্য সরকারি কর্মীরা দীর্ঘদিন ধরে লড়াই করছে। অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মীরাও দীর্ঘদিন ধরে বঞ্চিত। আমরা সুপ্রিম কোর্টে জয়ের বিষয়ে আশাবাদী।’
তবে এখন দেখার সুপ্রিম কোর্ট ডিএ সংক্রান্ত মামলায় কী রায়দান করে।
উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় হারে ডিএ-র দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আইনি লড়াই লড়ছিল রাজ্য সরকারি কর্মীরা। গত বছর মে মাসে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছিল, তিন মাসের মধ্যে রাজ্য সরকারকে বকেয়া মহার্ঘ ভাতা দিতে হবে সরকারি কর্মীদের। যদিও এই নির্দেশ পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়ে ফের একবার ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য। পরে মামলার জল গড়ায় সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। এরই পাশাপাশি ডিএ- ইস্যুতে যে আন্দোলন তার ঝাঁঝ বাড়াতে তৈরি হয়েছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। যেখানে একাধিক সংগঠন যৌথভাবে কেন্দ্রীয় হারে ডিএ সহ একগুচ্ছ দাবিতে আন্দোলন করছে।
এদিকে চলতি বছর রাজ্য বাজেটের দিনই সরকারি কর্মীদের অতিরিক্ত ৩ শতাংশ ডিএ বাড়ানোর কথা ঘোষণা করেছিলেন রাজ্যের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। যদিও এরপরে ক্ষোভ প্রশমিত হয়নি সরকারি কর্মীদের। তাঁরা দাবি করেছিলেন, সরকার ডিএ-র নামে ‘ভিক্ষা দিচ্ছে।’ অন্যদিকে, ডিএ আন্দোলন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, এমনটাই দাবি করেছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী মানস ভ্যুঁইঞা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

three − 2 =