মানিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে প্রাথমিক নিয়োগ সংক্রান্ত একটি মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেওয়া হল সুপ্রিম কোর্টের তরফ থেকে। আদালত সূত্রে খবর, বুধবার মানিক ভট্টাচার্য বনাম টিনা মন্ডল এবং পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ বনাম টিনা মন্ডল মামলার শুনানি ছিল।এদিকে গত ২ মার্চ এই মামলায় দুই কেন্দ্রীয় সংস্থা ইডি এবং সিবিআইকে যৌথভাবে তদন্তের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে একটি মামলা হয় শীর্ষ আদালতে। সেই মামলাতেই বুধবার অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেয় সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি দীনেশ মাহেশ্বরীর বেঞ্চ।
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে যে টেট পরীক্ষা হয়, তার ফলাফলের ভিত্তিতে ২০২০ সালে প্রাথমিকে নিয়োগের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছিল। তাতে যোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের নিয়ম মেনে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছিল কি না, তা খতিয়ে দেখতেই দুই তদন্তকারী সংস্থাকে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। পাশাপাশি বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় এও জানতে চান, এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানিকে কেন পর্ষদের তরফে ওই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল তা তদন্ত করে দেখার কথাও বলা হয় ইডি এবং সিবিআই-কে। সেই নির্দেশের বিরোধিতা করে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয় পর্ষদ। তার ভিত্তিতেই এই অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে।
তবে এদিনের এই রায়ের জেরে সম্পূর্ণ তদন্তে কোনও প্রভাব পড়বে না বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞ থেকে বঙ্গ রাজনীতিবিদরাও। কারণ নিয়োগ দুর্নীতির মামলা বৃহত্তর। একটি মাত্র মামলায় অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেওয়া হলেও তেমন কোনও প্রভাব পড়ার কথা নয়।