আদানি ইস্যুতে দায়ের হওয়া মামলার শুনানিতে রাজি শীর্ষ আদলত। ফলে শুক্রবার এই মামলার শুনানি হতে চলেছে শীর্ষ আদালতে। আদানি মামলায় জরুরিভিত্তিতে শুনানি চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করেন আইনজীবী বিশাল তিওয়ারি। এই ইস্যুতে অপর একটি মামলা ইতিমধ্যেই দায়ের হয় শীর্ষ আদালতে। সেই মামলার শুনানি হওয়ার কথা ১০ ফেব্রুয়ারি। তাঁদের দায়ের করা মামলাটিরও একইসঙ্গে শুনানি চেয়েছিলেন মামলাকারী আইনজীবী। তাঁর আবেদনে রাজি হন দেশের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়। মামলাকারী আইনজীবীর দাবি, আদানি ইস্যুতে অবিলম্বে তদন্ত শুরু করা হোক। একটি বিশেষ কমিটি গঠন করা হোক, যারা হিন্ডেনবার্গ সংস্থার অভিযোগগুলি খতিয়ে দেখবে। ৫০০ কোটি টাকার যে ঋণ দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন কর্পোরেট সংস্থাগুলিকে, সেগুলিও খতিয়ে দেখার আর্জি জানিয়েছেন মামলাকারী। তাঁর বক্তব্য, অসংখ্য সাধারণ মানুষ যারা তাদের জীবনের সমস্ত পুঁজি এই ধরণের স্টক মার্কেটগুলিতে লাগিয়েছেন, তাঁদের কাছে এটা বড় ধাক্কা। এত টাকা সম্পূর্ণ জলে চলে গিয়েছে তাঁদের।
প্রসঙ্গত, গত মাসের ২৮ তারিখ শিল্পপতি গৌতম আদানির সংস্থার বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট প্রকাশ করে নিউ ইয়র্কের সংস্থা হিন্ডেনবার্গ। লগ্নি সংক্রান্ত গবেষণা সংস্থার রিসার্চ রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, কারচুপি করে নিজেদের সংস্থার শেয়ারের দর বাড়িয়েছে আদানি গোষ্ঠী। হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের রিপোর্টে মরিশাস, আরব আমিরশাহির মতো কিছু দেশে আদানি পরিবারের মালিকানাধীন কিছু ভুয়ো সংস্থার উল্লেখ করা হয়েছে। সংস্থার দাবি, এ সংক্রান্ত তথ্য মিলেছে আদানি গোষ্ঠীরই প্রাক্তন কয়েকজন উচ্চপদস্থ কর্তা।
হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের ধাক্কায় বেসামাল অবস্থা আদানি গ্রুপের। আর তা নিয়ে মোদি সরকারের উপর ক্রমশই চাপ বাড়াচ্ছে বিরোধীরা। সংসদের বাজেট অধিবেশনে এই মর্মে আলোচনা চেয়ে সরব হয়েছে কংগ্রেস সহ অন্য রাজনৈতিক দলগুলি। পাশাপাশি তদন্তের দাবিও তোলা হয়েছে। এবার এই ইস্যু গড়াল দেশের শীর্ষ আদালত পর্যন্ত।