‘বিরোধী শিবিরের কুড়ি হাজার প্রার্থীর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করার ব্যাপারে জেলায় জেলায় পুলিশ সুপারদের টার্গেট বেঁধে দেওয়া হয়েছে।‘ রবিবার এমনই এক বিস্ফোরক অভিযোগ করতে শোনা গেল বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে। একইসঙ্গে তিনি এও জানান, ‘তৃণমূল কংগ্রেস কৌশল নিয়েছিল যে বিজেপি সহ অন্যান্য বিরোধী রাজনৈতিক দলের প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রথমে কোনও বাধা দেওয়া হবে না। কিন্তু যখনই বিপুল সংখ্যক বিরোধী শিবিরের প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দিতে শুরু করেন তখনই শাসকদলের হিংসার মুখে পড়তে হয় বিরোধীদের। তৃণমূল নেতৃত্ব প্রথমে ভেবেছিল পঞ্চায়েত ভোটের দিন ভোট লুট করে ক্ষমতায় ফিরবে। কিন্তু নিজেদের পায়ের তলার মাটি সরে গিয়েছে বুঝতে পেরেই এবার বিজেপি ও অন্যান্য বিরোধী শিবিরের প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করানোর লক্ষ্যে জেলায় জেলায় হুমকি দিতে শুরু করে শাসকদল।’ এরই রেশ ধরে রাজ্য বিজেপি সভাপতি এদিন এও দাবি করেন, ‘আমাদের কাছে খবর আছে যে, যাঁরা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তাঁদের মধ্যে কুড়ি হাজার প্রার্থীর মনোনয়নপত্র চাপ সৃষ্টি করে প্রত্যাহার করার লক্ষ্যমাত্রা স্থির করে দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব। পাশাপাশি ভোটের দিন পুলিশ প্রশাসনকে ব্যবহার করে ব্যাপক সন্ত্রাস চালিয়ে পঞ্চায়েত দখল করতে চাইছে শাসক শিবির।’ এই প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার এও জানান, ‘বিরোধীদের পাশাপাশি বিক্ষুব্ধ তৃণমূলের নির্দল হয়ে যাঁরা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন সেই সমস্ত প্রার্থীদেরও মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করানোর বিষয়ে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তৃণমূলের সর্বোচ্চ জায়গা থেকে।’
একইসঙ্গে কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রসঙ্গেও কমিশন ও সরকারের সুপ্রিম কোর্টে যাওয়া প্রসঙ্গে বিদ্ধ করতে দেখা যায় বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে। এপ্রসঙ্গে রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘তৃণমূল ভীত। মানুষ ওদের সঙ্গে নেই, তা বুঝতে পেরেছে৷ তাই শান্তিপূর্ণ ভোট না করে ভোট লুটের কারণে কেন্দ্রীয় বাহিনী চাইছে না। বদলা নয় বদল চাই বলে এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কী করছেন সবাই দেখছে।’
শাসকদলের বিরুদ্ধে এই সব অভিযোগ তোলার পাশাপাশি রীতিমতো হুঁশিয়ারির সুরে সুকান্ত মজুমদার জানান, ‘ভোটের দিন তৃণমূল কংগ্রেস যদি ভাবে সন্ত্রাস করে ভোট লুট করে পঞ্চায়েত দখল করবে তাহলে বিজেপিও হাত গুটিয়ে বসে থাকবে না। গণতান্ত্রিকভাবে গ্রাম বাংলার মানুষকে সঙ্গে নিয়ে আমরা সর্বশক্তি দিয়ে প্রতিরোধ করব। এক ইঞ্চি জমি ছাড়া হবে না।’