সাফ গেমসে কুয়েতকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন সুনীলদের ভারত

ম্যাচের মাত্র ১৪ মিনিটে গোল খেলে আত্মবিশ্বাসে প্রভাব পড়তে বাধ্য। সুনীল ছেত্রী সেটি হতে দেননি। সতীর্থদের আগলে রেখেছেন। সঙ্গ দিয়েছে গ্যালারি। কখনও ছেত্রী…ছেত্রী…ধ্বনি। কখনও বা ‘বন্দে মাতরম’ এবং ‘মা তুঝে সালাম’। গোল খেয়েও কি আর ভেঙে পড়া যায়! ভারতীয় দলও ভেঙে পড়েনি। তাগিদ বাড়িয়েছে। ৩৯ মিনিটে লালিনজুয়ালা ছাংতের গোলে সমতা ফেরায় ভারত। সেমিফাইনালে লেবাননের বিরুদ্ধে রুদ্ধশ্বাস জিতেছিল ভারত। নির্ধারিত সময় এবং অতিরিক্ত সময়েও ফল হয়নি। টাইব্রেকারে লেবাননকে ৪-২ ব্যবধানে হারিয়েছিল ভারত। লেবানন ম্যাচের মতো ফাইনালেও কুয়েতের বিরুদ্ধে নায়ক হয়ে উঠলেন গুরপ্রীত সিং সান্ধু। লেবাননের বিরুদ্ধে টাইব্রেকারে একটি শট বাঁচিয়েছিলেন। এ দিন কুয়েতের প্রথম শটই বাঁচিয়ে দেন গুরপ্রীত। যদিও উদান্ত সিং শট মিস করায় দু-দলই চাপের মুহূর্তে ছিল। সাডেন ডেথে কুয়েত অধিনায়কের শট বাঁচিয়ে ভারতের জয় নিশ্চিত করেন গুরপ্রীত। ম্যাচ শেষে ভারতের জয়ের নায়ক বলছেন, ‘শুরুতে গোল খেয়ে সমতা ফেরানো। আমরা হাল ছাড়িনি। টাইব্রেকার লটারির মতো। ভাগ্যও নির্ভর করে। সেখানে যে কেউ জিততে পারে। নিজেদের ওপর ভরসা রেখেছিলাম। আমরা ভাগ্যবান, পেনাল্টি শুট আউটে জিততে পেরেছি। খুবই ভালো লাগছে।’ দলের অভিজ্ঞ ডিফেন্ডার সন্দেশ ঝিঙ্গান বলছেন, ‘টানা দু-ম্যাচ টাইব্রেকারে জয়। চ্যাম্পিয়ন হতে পেরে ভালো লাগছে। সবচেয়ে বেশি ভালো লাগছে এখানকার সমর্থন। গ্যালারি সারাক্ষণ আমাদের আত্মবিশ্বাস জুগিয়েছে। এত সুন্দর পরিবেশ। সমর্থকদের ধন্যবাদ, এ ভাবে আমাদের পাশে থাকার জন্য। এই জয় সমর্থকদের জন্যই।’ কথা বলতে বলতেই ছুটলেন সন্দেশ। সে সময় টিমের ফটোসেশন চলছে। তিনি যদি বাদ পড়ে যান! উচ্ছ্বাসে ভেসে সতীর্থদের সঙ্গে যোগ দিলেন সন্দেশ। ট্রফির হ্যাটট্টিক করে উচ্ছ্বসিত অধিনায়ক সুনীল ছেত্রীও। বলছেন, ‘দলের প্রত্যেকেই সারাক্ষণ চেষ্টা করে গিয়েছে। সকলের মধ্যে অদম্য জয়ের খিদে। ম্যাচটা একেবারেই সহজ ছিল না। গত সাত-আট সপ্তাহ আমরা এক সঙ্গে রয়েছি। আরও একটা টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন। এর চেয়ে ভালো ফল হতে পারে না। কুয়েত সহজ টিম নয়। টানা দুটো ম্যাচ টাইব্রেকারে গড়াল। কিন্তু খুবই খুশি জিতে মাঠ ছাড়তে পেরে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

twenty − seven =