সদ্য আন্তর্জাতিক ফুটবলে প্রাক্তন হয়েছেন সুনীল ছেত্রী। বৃহস্পতিবার কেরিয়ারের শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেললেন। কলকাতা ময়দানেই তাঁর উত্থান। এই শহর প্রকৃত অর্থেই জানে সুনীল ছেত্রীর প্রথম সব কিছু। সেই শহরে তাঁর প্রেমও। ক্যাপ্টেনের বিদায়ী ম্যাচে গ্যালারিতে ছিলেন পরিবারের সকলেই। ভারতীয় ফুটবল প্রেমীরা কান্নায় ভেঙে পড়েন ক্যাপ্টেনের বিদায়ী ম্যাচে। সুনীল নিজেও আবেগ ধরে রাখতে পারেননি। কিন্তু এটাই জীবন! ফুটবলের পর কী? একদিকে যেমন, ভারতীয় ফুটবলে প্রশ্ন, সুনীল ছেত্রীর পর কে তাঁর মতো ভরসাযোগ্য হয়ে উঠতে পারেন, তেমনই নীল জার্সি ছাড়া সুনীলও কী ভাবে কাটাবেন?
আন্তর্জাতিক ফুটবলে প্রাক্তন হলেও ইন্ডিয়ান সুপার লিগে খেলতে দেখা যাবে কিংবদন্তি সুনীল ছেত্রীকে। কিন্তু তাঁর স্ত্রী সোনম ভট্টাচার্য অন্য ভূমিকায় চাইছেন সুনীলকে। টানা সূচির কারণে পরিবারকে সেই অর্থে সুযোগ দেওয়া কঠিন ক্রীড়াবিদদের ক্ষেত্রে। সুনীলের কাছেও বিষয়টা তেমনই ছিল। এখন কিছুটা সময় পাবেন। ফুটবলের সঙ্গে অন্য ভূমিকাতেও যুক্ত থাকার সুযোগ রয়েছে সুনীলের কাছে। যদিও তাঁর স্ত্রী চাইছেন, সুনীলকে বাবার ভূমিকায় আরও বেশি করে দেখতে।
সুনীল-সোনমের সন্তান হয়েছে বছরখানেকও পেরোয়নি। সোনম চান, আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায় জানানোর পর এ বার বাবার দায়িত্ব উপভোগ করুক সুনীল। ক্যাপ্টেন নিজেও কি তেমনই চাইছেন? হয়তো। ফুটবলের সঙ্গে যুক্ত থাকার নানা প্রস্তাব থাকলেও আপাতত পরিবারকেই সময় দিতে চান। বাংলার জামাই। আর সামনেই জামাই ষষ্ঠী।
স্বাভাবিক ভাবেই ম্যাচের পর সুনীলকে জিজ্ঞেস করা হয়, জামাই ষষ্ঠীতে কলকাতায় থাকছেন কিনা। আবেগের মুহূর্ত কাটিয়ে সুনীল ততক্ষণে কিছুটা খোশমেজাজে। তবে তাঁর হয়ে জবাব দিলেন স্ত্রী সোনম। পরিষ্কার বলছেন, ‘সেটা তো বাবা (সুব্রত ভট্টাচার্য) বলতে পারবে। আমাদের নিমন্ত্রণ করবে কিনা দেখি।’