ভারতীয় ক্রিকেটের দুই মহাতারকার সম্পর্ক ২০২১ সালেই তলানিতে ঠেকেছিল। এ বার সেটা আরও স্পষ্ট হল। বিরাট কোহলির বিস্ফোরক সাংবাদিক সম্মেলনের কয়েক ঘন্টা পরেই তাঁকে পাল্টা দিলেন সুনীল গাভাসকর। চলতি এশিয়া কাপে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সুপার ফোরের ম্যাচে পাঁচ উইকেটে হেরে যায় টিম ইন্ডিয়া। এরপর সাংবাদিক সম্মেলনে এসে ‘বিরাট’ বিস্ফোরণ ঘটান কোহলি।
জানিয়েছিলেন যে, টেস্ট দলের অধিনায়কত্ব ছাড়ার পর তিনি শুধু মহেন্দ্র সিং ধোনির তরফ থেকে মেসেজ পেয়েছিলেন। শুধু এটা বলেই তিনি ক্ষান্ত থাকেননি। কোহলি আরও যোগ করেন, তাঁর ব্যাটিংয়ের ভুলভ্রান্তি শুধরে দেওয়ার সদিচ্ছা কোনও প্রাক্তনের থাকলে তিনি যেন সরাসরি এসে কথা বলেন। এই বিষয়ে টেলিভিশনে মন্তব্য করা সঠিক নয়। বিরাটের এমন বক্তব্য ভালভাবে নেননি ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক। সানি জানান, ঠিক কার থেকে ফোন পাওয়ার আশা করছিলেন বিরাট, সেটা তাঁর বলা উচিত।
একটি সর্ব ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে ‘লিটল মাস্টার’ বলেন, ‘বিরাট ঠিক কোন প্রাক্তনের কথা বলছে এটা বোঝা খুব শক্ত। বিরাট যদি নাম উল্লেখ করে তাহলে তাদেরকে গিয়ে জিজ্ঞেস করা যায় যে তোমরা যোগাযোগ করেছিলে কিনা। যদি বিরাটের সঙ্গে খেলে যাওয়া প্রাক্তনীদের কথা বলা হচ্ছে এখানে, তাহলে তাদের মধ্যে টিভিতে কারা আসে, সেটা সবার জানা। তাদের গিয়ে তাহলে ধরা উচিত যে কেন কোনও মেসেজ করেনি!’
এখানেই থেমে না থেকে সানি আরও যোগ করেন, ‘বিরাট ঠিক কী বার্তা চেয়েছিল! ও কী উৎসাহ চাইছিল! ওর অধিনায়কত্বের পালা চুকে গিয়েছিল। তাহলে আবার কীসের উৎসাহ লাগবে! বিরাট এই মুহূর্তে জাতীয় দলের একজন সিনিয়র ক্রিকেটার হিসাবে খেলছে। ওকে সেই ভূমিকায় জোর দেওয়া উচিত। এখন অন্যদের বিষয়ে আর ভাবার প্রয়োজন নেই।’
১৯৮৫ সালে ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ জেতার পর অধিনায়কত্ব ছাড়েন সুনীল গাভাসকর। সেই প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন তিনি ফের বলেন যে, ‘অধিনায়কত্ব ছাড়ার পর আমিও কোনও মেসেজ পাইনি। সেই ঘোষণা করার পর রাতে সতীর্থদের সঙ্গে পার্টি করেছি। তাঁদের শুভেচ্ছা পেয়েছি। কিন্তু এর থেকে বেশি কিছু প্রত্যাশা করা উচিত নয়।’