নিজস্ব প্রতিবেদন, বকখালি: ঘূর্ণিঝড়ের আতঙ্কে তটস্থ সুন্দরবন। রেমালের প্রভাবে শনিবার সকাল থেকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবন ও উপকূল এলাকার আকাশ ছিল ঘন মেঘে ঢাকা। দুপুরের দিকে বেশকিছু জায়গায় দু’-এক পশলা বৃষ্টিও হয়। এদিকে পূর্ণিমার কোটালের জেরে নদী ও সমুদ্রে জলস্তর বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে জোয়ারের সময় বাঁধ উপচে জল ঢোকারও আশঙ্কা তৈরি হয়। এদিন সাগর, নামখানা, পাথরপ্রতিমা, রায়দিঘি সহ উপকূল এলাকায় পুলিশের পক্ষ থেকে সতর্কতার প্রচার চালানো হয়। জেলা প্রশাসনের নির্দেশে ইতিমধ্যেই উপকূলের ব্লকগুলিতে খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। বিডিও অফিসের পাশাপাশি প্রতিটি পঞ্চায়েতে ত্রাণসামগ্রী মজুত রাখা হয়েছে।
শনিবার বেলায় কাকদ্বীপ মহকুমা প্রশাসন ভবনে রেমাল মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক সুমিত গুপ্তা, সুন্দরবনের পুলিশ সুপার কোটেশ্বর রাও ও ডায়মন্ড হারবার স্বাস্থ্য জেলার আধিকারিকরা। পরিস্থিতি খারাপের দিকে এগোলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপকূলের বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। সেজন্য ফ্ল্যাড শেল্টার ও সরকারি ßুñলগুলি তৈরি রাখা হয়েছে।
রেমাল মোকাবিলায় বিশেষ বৈঠকের পর দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসক সুমিত গুপ্তা বলেন, ‘ইতিমধ্যেই প্রত্যেকটি গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। বিপর্যয় মোকাবিলায় সব ধরনের ব্যবস্থাপনা নিয়ে রাখতে বলা হয়েছে। জেলা সদরে একটি বিশেষ কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। প্রতিটি ব্লকের কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রাখা হবে। রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা দলকেও প্রস্তুত থাকতে বলেছি। বড় দুর্ঘটনা এড়াতে প্রত্যেক দপ্তরকেই সজাগ থাকতে বলা হয়েছে।’
অন্যদিকে, শনিবার জোয়ারের সময় নদী ও সমুদ্রের জলস্তর বৃদ্ধি পাওয়ায় মাটির বাঁধে ক্ষতির আশঙ্কা করছেন সুন্দরবনের বাসিন্দারা। আমফানের সময় বিঘের পর বিঘে চাষ জমি নোনাজলে প্লাবিত হয়েছিল। ভেঙে গিয়েছিল বহু বাঁধ। সেই ক্ষত সেরে উঠতে না উঠতেই নতুন ঘূর্ণিঝড় আসার খবরে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন উপকূলের মানুষ।