গরম মানেই হাঁসফাঁস। আবার গরম মানেই আম, জাম, লিচু। গরমের কাঁচা আমকে যদি মুরগির মাংসের সঙ্গে দিয়ে রান্না করা যায়, তাহলে কিন্তু হতে পারে এমন কিছু, যা চেটেপুটে খাবে বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্য।
এই গরমে তাই বানিয়ে ফেলুন আম-মুরগি (Raw Mango chicken)।
উপকরণ- কাঁচা আম (কাঁচামিঠে আম হলে খুব ভালো), আদা, রসুন, পেঁয়াজ, হলুদ (অপশনাল)কাঁচালঙ্কা, লঙ্কা গুঁড়ো, সরষের তেল, চিনি, গরম মশলা, ধনে পাতা
কীভাবে করবেন- মুরগির মাংস আদা, রসুন, পেঁয়াজ বাটা, সরষের তেল, নুন দিয়ে ম্যারিনেট করে রাখুন অন্তত ১ ঘণ্টা। এবার মিক্সিতে ছোট একটা আম কয়েকটা কাঁচা লঙ্কা সামান্য নুন দিয়ে পেস্ট করে নিন।
রান্না হবে সরষের তেলে। মাংসের পরিমাণ দেখে সরষের তেল ঢালুন। শুকনো লঙ্কা, গোলমরিচ, তেজপাতা ফোড়ন দিন। দিয়ে দিন পাতলা করে কাটা পেঁয়াজ একটু বেশি পরিমাণে। আসলে আমের টক ভাবটা পেঁয়াজের যে স্বাভাবিক মিষ্টত্ব থাকে তার সঙ্গে ব্যালান্স করা দরকার। এবার পেঁয়াজের সঙ্গে কুঁচনো আদা ও রসুন, স্বাদমতো নুন, কষিয়ে নিন। চাইলে হলুদ দিতে পারেন আবার নাও দিতে পারেন। মশলা কষানো হয়ে গেলে আমের পেস্টটা পরিমাণ মতো দিয়ে আবার নাড়তে থাকুন। চিনি দিন। যদি কাঁচামিঠে আম ব্যবহার করেন, তাহলে চিনি কমই লাগবে। যদি সাধারণ কাঁচা টক আম ব্যবহার করেন তাহলে একটু বেশি চিনি দরকার হবে। দেখবেন মাংস যেন মিষ্টি স্বাদের না হয়ে যায়। টক দেওয়া হচ্ছে বলেই চিনিটা ব্যালান্স করে দিতে হবে।
এই পর্যায়ে দিন ম্যারিনেট করা মুরগির মাংস। মিনিট ৪-৫ হাই ফ্লেমে কষানোর পর আঁচ কমিয়ে ঢাকা দিয়ে রাখুন। মাংস থেকে ঝল ছাড়বে, আর তাতেই কিন্তু মাংস সেদ্ধ করতে হবে। ফলে মিনিট ৫-৭ অন্তর একটু করে মাংস নাড়িয়ে দেবেন। এভাবে কষতে কষতে মাংস সেদ্ধ হয়ে এলে আমের পেস্ট এক চামচ দিয়ে দিন। আর দিন ভালো করে ধুয়ে নেওয়া আমের খোসার অংশ হাল্কা করে ছাড়িয়ে।এতে গন্ধটা ভাল আসবে। এই পর্যায়ে সামান্য ধনে পাতা কুঁচি, গরম মশলা গুঁড়ো ছড়িয়ে মাংসটা আবার ঢাকা দিয়ে হতে দিন। প্রয়োজন হলে সামান্য গরম জল দিতে পারেন গ্রেভির জন্য তবে বেশি নয়। আরও পাঁচ-সাত মিনিট কম আঁচে রান্নার পর মাংস ভালভাবে সেদ্ধ হয়ে গেলে নামিয়ে নিন। গরম ভাত, রুটি, নান, পরোটা সমস্ত কিছুতেই আম-মুরগি হিট।