বাঁ হাতি স্পিনার। তবে রবীন্দ্র জাডেজার মতোই বোলিং অ্যাকশন নয়। যদিও সতীর্থরা ভালোবেসে তবু ডাকেন জাড্ডু বলে। এই নামটাই পরিচয় হয়ে উঠেছে। হয়তো লাগাতার উইকেট সোজা বল করতে পারেন বলে! আসল কারণটা অবশ্য নিজেই জানিয়েছেন। বিহারের ‘জাড্ডুই’ এ বার পারফেক্ট টেনের রেকর্ড গড়ে হইচই ফেলে দিয়েছেন। নাম সুমন কুমার। খেলছেন কুচবিহার ট্রফিতে। আর তাতেই ইনিংসে ১০ উইকেট। শুধু তাই নয়, এতে রয়েছে হ্যাটট্রিকও।
টুর্নামেন্টের ইতিহাসে প্রথম বোলার হিসেবে একই ইনিংসে হ্য়াটট্রিক সহ ১০ উইকেটের নজির সুমন কুমারের। সব মিলিয়ে তৃতীয় বোলার যিনি এই টুর্নামেন্টে ইনিংসে ১০ উইকেট নিলেন। রাজস্থানের বিরুদ্ধে এই কীর্তি সুমনের। সব মিলিয়ে ইনিংসে বোলিং করেছেন ৩৩.৫ ওভার। এর মধ্যে ১০টি মেডেন। ইকোনমি ১.৫৭। নিয়েছেন ১০ উইকেট। ইনিংসের ৩৬ তম ওভারে মোহিত ভাগনানি, অ্যানাস এবং সচিন শর্মাকে ফিরিয়ে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন সুমন। ম্যাচটি অবশ্য অমীমাংসিতই রয়েছে। তবে প্রথম ইনিংসে লিডের সুবাদে তিন উইকেট পেয়েছে বিহার।
টাইমস অব ইন্ডিয়াকে একটি সাক্ষাৎকারে সুমন কুমার বলেন, ‘ব্য়াটিং পিচ ছিল। এখানে বোলারদের সমস্যা হবে এটাই প্রত্যাশিত। আমরা প্রথম ব্যাট করায় কিছুটা সুবিধা হয়েছে। রাজস্থান শক্তিশালী দল। ওরা কিন্তু শুরু থেকে দুর্দান্ত খেলছিল।’ ম্যাচের আগে টিটকিরিও তাতিয়েছিল সুমনকে।
আরও যোগ করেন, ‘ম্যাচের আগে অনেকেই বলাবলি করছিল, রাজস্থানের ব্যাটাররা আমাকে ধুয়ে দেবে। চ্যালেঞ্জটা সিরিয়াসলি নিয়েছিলাম। পাঁচ উইকেট নেওয়ার পর আমার ক্যাপ্টেন ও সতীর্থরা বলে-আজ তোর দিন, চালিয়ে যা। আরও পাঁচ উইকেট নেওয়ার পর সতীর্থরা এত বেশি খুশি ছিল, দৌড়ে এসে আমাকে জড়িয়ে ধরে।’ সুমনের প্রেরণা দেশের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার রবীন্দ্র জাডেজা। তাঁর সঙ্গে দেখা করার সুযোগ না হলেও সুমনের কাছে জাডেজার প্রচুর স্পেলের ভিডিয়ো সংরক্ষিত করা রয়েছে। সেখান থেকেই দেখে শেখার চেষ্টা করেন। জাডেজার সঙ্গে দেখা করাই যে স্বপ্ন, জানাতে ভোলেননি।