তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পরেই বিধানসভার অধিবেশন কক্ষে আসন বদল হল আলিপুরদুয়ারের বিধায়কের। এত দিন ৭৫ নম্বর আসনে বসতেন তিনি। সপ্তাহ খানেক আগে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন সুমন। এবার তাঁর আসন নম্বর হল ৮১। ওই আসনে এতদিন বসতেন নির্দল বিধায়ক রুদেন লেপচা। এবার থেকে কালিম্পংয়ের ওই বিধায়ক বসবেন সুমনের আসনে।দলবদলের সঙ্গেই বিধায়কদের আসন বদলের একটা রেওয়াজ আছেই। সুমন কাঞ্জিলালের ক্ষেত্রেও তার অন্যথা হচ্ছে না। ফলে অধিবেশন কক্ষে সুমনের বসার সঙ্গী হলেন চাপদানির তৃণমূল বিধায়ক অরিন্দম গুহ। এছাড়াও আছেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার তৃণমূল বিধায়ক পরেশরাম দাস, বিভাস সর্দার, গনেশ মণ্ডল, সুব্রত মণ্ডলরা। তবে দলবদলের পরে থেকে এখনও অবশ্য বিধানসভায় আসেননি সুমন। এদিকে সুমনের দলবদল সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই জানিয়েছিলেন, ‘আমি শুনিনি যে দল বদল হয়েছে। উত্তরীয় তো পরাতেই পারেন।’
প্রসঙ্গত, ক্যামাক স্ট্রিটের অফিসে সুমনকে উত্তরীয় পরিয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে সুমন কাঞ্জিলালের হাতে তৃণমূলের পতাকা তুলে দেওয়া হয়নি সেদিন। এরই প্রেক্ষিতে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সেই প্রসঙ্গে পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছিলেন। এর আগে মুকুল রায়ের তৃণমূলে যোগের সময়ও একই প্রশ্ন উঠেছিল। তাঁর হাতেও দেখা যায়নি তৃণমূলের পতাকা। যতবার বিধানসভায় বিরোধীরা মুকুলের ‘দলত্যাগ’ নিয়ে সোচ্চার হয়েছে, ততবারই বিধানসভার অধ্যক্ষ জানিয়েছেন, মুকুল রায়ের দলত্যাগের সপক্ষে পর্যাপ্ত প্রমাণ নেই। একইসঙ্গে তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, বাইরে কে কী করেছেন সেটা তাঁর বিচার্য বিষয় নয়, বিধানসভার অভ্যন্তরে এখনও কৃষ্ণনগর উত্তরের বিজেপি বিধায়ক হিসেবেই রয়েছেন মুকুল রায়।