ফের সাংবাদিক বৈঠকে তৃণমূলকে একহাত নিলেন সুকান্ত মজুমদার

ডিসেম্বরে ওয়েব সিরিজ দেখতে থাকুন। একটার পর একটা না দেখলে বুঝবেন কি করে। অনেক ধেড়ে ইঁদুর বেরিয়ে আসবে এবং খাঁচার মধ্যে ঢুকবে। আপনারা শীতের উপভোগ করে পিঠে খান। আর ডিসেম্বরের ওয়েব সিরিজ দেখুন। অনেক কিছু এখনো বাকি আছে। শনিবার মালদার কালিয়াচক তিন ব্লকের বৈষ্ণবনগর এলাকায় জনসভায় যাওয়ার আগে সাংবাদিক বৈঠকে এমনটাই মন্তব্য করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। এদিন শাসকদল তৃণমূলকে আরো একবার তুলোধনা করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সাংবাদিকদের সঙ্গে খোলামেলা আলোচনায় বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, তৃণমূলের অধিকাংশই চোর আর যারা সুযোগ পায়নি তারা চুরি করতে পারছে না। সুযোগ পেলেই চুরি করবে। এটা তো আর নতুন কিছু নয়। কাজেই আগামী দিন সময় আসছে যখন মানুষ ক্ষিপ্ত হয়ে তৃণমূল নেতাদের রাস্তায় ধরে ধরে গণপিটুনি দিবে। যেমনটা হরিশ্চন্দ্রপুরে ঘটেছে। শুনেছি কোন এক তৃণমূল শিক্ষক নেতা নাকি কাটমানি নিয়েছিল তারপরই তাকে গণপিটুনি দেওয়া হয়। এদিন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ সুকান্ত মজুমদার আরও বলেন, রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার বেহাল অবস্থা। তার উদাহরণ হিসাবে মালদা মেডিক্যাল কলেজ এখানে চিকিৎসকেরা ১ থেকে ২ দিন এসে প্র্যাকটিস করে চলে যান। বাকি দিন ছুটি কাটান। সাধারণ রোগীরা দুর্ভোগের মধ্যে পড়ছেন। এদিন আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন প্রসঙ্গে বিজেপি সাংসদ তথা দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, তৃণমূল কোথাও জেতে না। শুধু ওরা দখল করে। কেন্দ্র সরকার সার্বিক উন্নয়নের জন্য টাকা পাঠাচ্ছে। কিন্তু সে সার্বিক উন্নয়ন হচ্ছে কোথায়। রাজ্যের বহু জায়গায় তৃণমূলের সঙ্গে তৃণমূলের লড়াই হবে। কারণ, ওদের দলের মধ্যেই প্রতিযোগিতা চলছে, কে কার ভাগ খাবে। বিভিন্ন এলাকায় বিজেপি কর্মীদের সুষ্ঠু আন্দোলনকে বাধা দেওয়া হচ্ছে। এটা রাজ্যের মানুষ ভালো চোখে নিচ্ছে না। বিজেপি কর্মীদেরকে রাস্তায় আটকানো যদি সৃষ্টাচার হয়, তাহলে আমাদের আর কিছু বলার নেই। তবে এবারে অনেক কিছুই ঘটতে চলেছে ডিসেম্বরে। শুধু সময়ের অপেক্ষা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

19 − fourteen =