মেজাজ হারালেন সুজয়কৃষ্ণ

‘লিপ্স অ্যান্ড বাউন্ডস’-এর অফিস সহ সুজয়কৃষ্ণের বাড়ি এবং আত্মীয়দের ফ্ল্যাটেও সোমবার হানা দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকেরা। সোমবার রাতভর চলে এই তল্লাশি অভিযান। সূত্রের খবর, তাঁদের হাতে এমন কিছু তথ্য এসেছে, যাতে সুজয়কৃষ্ণর বিপদ বাড়বে বই কমবে না। বুধবার যখন সুজয়কৃষ্ণ এসএসকেএম হাসপাতালে শারীরিক পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, তখনই সাংবাদিকরা তাঁকে দেখে খুবই সাধারণ একটি প্রশ্ন করেন, ‘লিপ্স অ্যান্ড বাউন্ডস কোম্পানিতে তল্লাশি চলছে, কী বলবেন?’ সুজয়কৃষ্ণ তখন ছিলেন গাড়ির ভিতরে। মুখে অক্সিজেন মাস্ক লাগানো। তিনি প্রথমে হাত দিয়ে সাংবাদিকের বুম ঠেলে সরিয়ে দেন। তারপর বলেন, ‘সরুন এখান থেকে, অসভ্য সব…’ তারপর মুখ থেকে অক্সিজেন মাস্ক নামিয়ে রীতিমতো অগ্নিশর্মা হয়ে বলেন, ‘২ কোটি বার তল্লাশি করবে, তোর বাপের কী? তোর বাপের কী?’

শিক্ষায় দুর্নীতির তদন্তের শুরুর দিকে একের পর এক পেঁয়াজের খোসা ছাড়াচ্ছেন তদন্তকারীরা, তখন গোপাল দলপতির মুখে উঠে এসেছিল সুজয়কৃষ্ণ ওরফে কালীঘাটের ‘কাকু’র নাম। প্রথমদিকেও অত্যন্ত আত্মবিশ্বাসী ছিলেন সুজয়কৃষ্ণ। সেদিন বলেছিলেন, সমস্ত রকমের তদন্তের মুখোমুখি হতে তিনি প্রস্তুত। তাঁর ভূমিকা একেবারেই দুধ সাদা। কোনওভাবেই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত নন তিনি। সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র আপাতত বিচারাধীন। তবে তাঁর আত্মবিশ্বাস যে এখন আর অটুট নেই, তা দৃশ্যত ধরা পড়ল ক্যামেরায়। সাংবাদিকরা স্বাভাবিক প্রশ্ন করতেই মেজাজ হারানোর সঙ্গে শালীনতাও উধাও তাঁর কথায়।

এদিকে ইডি সূত্রে খবর, ‘লিপ্স অ্যান্ড বাউন্ডসে’র বিষ্ণুপুর জল কারখানা থেকে দু’ব্যাগ নথি ও ডিজিটাল নথি বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। নিউ আলিপুরের অফিস থেকে উদ্ধার হয়েছে আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত বিপুল নথি। উদ্ধার বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে মউ এবং চুক্তিপত্র। ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসে’র আয় ব্যয়ের  হিসাব ধরতে মরিয়া তদন্তকারীরা।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

three + nineteen =