ইডি-র হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে ‘কালীঘাটের কাকু’। বুধবার তাঁর ইডি হেপাজতের মেয়াদ শেষ হয়। বুধবার আদালতে তোলার আগে মেডিক্যাল পরীক্ষার সময় একাধিক বিস্ফোরক মন্তব্য করেন কালীঘাটের কাকু। এদিকে সুজয়কৃষ্ণের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল, তাঁর একটি ট্রাস্টে ছ কোটি টাকার বাংলো দেওয়া হয়েছিল। পাশাপাশি একটি অ্যাকাউন্টে এক কোটি নগদ জমা দেন বলেও অভিযোগ। এই প্রসঙ্গে সুজয়কৃষ্ণ জানান, ‘এই তথ্য একেবারে ভুল।‘ আর টাকা জমা দেওয়ার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘পাঁচ বছর ধরে এই টাকা জমা দেওয়া হয়েছে তা কেউ বলছে না। শুধু ডিপোজিটটাই বলা হয়। উইড্রল-এর বিষয়ে কিছু বলা হয় না।‘ একইসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘আর কোনও কথা নেই।‘ তবে এদিন গাড়ির মধ্যে বসে মাস্ক খুলে ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসতেও দেখা যায় কালীঘাটের কাকুকে।
তবে গ্রেপ্তার হওয়ার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে নিজের সম্পত্তি প্রসঙ্গে মেজাজ হারান কালীঘাটের কাকু। তাঁর কণ্ঠে শোনা গিয়েছিল আম্বানি এবং আদানি প্রসঙ্গও। এমনকী এমনও তিনি বলেছিলেন, ‘যদি আম্বানি আদানিদের কোটি কোটি টাকা থাকে এবং তা নিয়ে প্রশ্ন না ওঠে সেক্ষেত্রে আমার বেলায় কেন প্রশ্ন উঠছে? আমার ২০০ কোটি যদি থাকে সেক্ষেত্রে কার কী?’
প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেপ্তার করা হয় বেহালার বাসিন্দা সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় নাম উঠে আসা তাপস মণ্ডলের কণ্ঠে প্রথম উঠে এসেছিল কালীঘাটের কাকু প্রসঙ্গ। এরপরেই সুজয়কৃষ্ণের বাড়ি, অফিসে তল্লাশি চালান তদন্তকারীরা।
এদিকে সংস্থার ডিরেক্টরদের সঙ্গে কথা বলে একাধিক নয়া তথ্য উঠে এসেছে। এরপর গত ৩০ মে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি এবং তাঁর মন্তব্যে অসংগতি পাওয়ায় গ্রেপ্তার করা হয় সুজয়কৃষ্ণকে। এদিকে কেন সুজয়কৃষ্ণকে ‘কালীঘাটের কাকু’ কেন বলা হচ্ছে এই প্রসঙ্গে মুখ খোলেন স্বয়ং সুজয়কৃষ্ণ। তিনি এও জানিয়েছিলেন, ‘কালীঘাটে না আমার বাড়ি না অফিস। সেক্ষেত্রে কেন এই নামে ডাকা হচ্ছে তা বুঝে উঠতে পারছি না।‘ এদিকে তাঁর গ্রেপ্তারির পর পরিবারের কিছু সদস্য দাবি করেছিলেন, কালীঘাটের কাকু ওরফে সুজয়কৃষ্ণ একসময় আরএসএস-এর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। সংঘের সক্রিয় সদস্য ছিলেন তিনি, এই দাবিও করা হয়।