দোষ স্বীকার করতে চাপ দিচ্ছে ইডি, আদালতে অভিযোগ সুজয়কৃষ্ণর

যে অভিযোগ ইডি-র তদন্তকারী আধিকারিকদের বিরুদ্ধে তুলেছিলেন কুন্তল ঠিক একই সুর শোনা গেল নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে ‘কালীঘাটের কাকু’-র গলাতেও। মঙ্গলবার তিনিও কুন্তলের মতোই ইডির বিরুদ্ধে অসাংবিধানিক পদ্ধতিতে জিজ্ঞাসাবাদের অভিযোগ তোলেন।শুধু অভিযোগ তুলেই ক্ষান্ত হননি সুজয়কৃষ্ণ পাশাপাশি এই অভিযোগ জানিয়েছেন আদালতের কাছেও। অভিযোগ জানাতে গিয়ে তিনি জানান, তাঁর বিরুদ্ধে যা যা অভিযোগ আনা হয়েছে সেগুলো স্বীকার করে নেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে তাঁকে।
এরই পাশাপাশি নিজের আইনজীবীর সঙ্গে দেখা করার অনুমতিও চেয়েছেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে ‘কালীঘাটের কাকু’।তাঁর অভিযোগ, জেল হেপাজেত থাকাকালীন তাঁকে আইনজীবীর সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হয়নি। এমনটাই জানান সুজয়ের আইনজীবী সেলিম রহমান। পাশাপাশি আদালতে এও জানানো হয় যে, আইনজীবীর সঙ্গে নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে দেখা করার অনুমতি চান সুজয়। আইনজীবী মারফৎ তিনি সুজয়কৃষ্ণ আদালতে আর্জি জানান, ‘কোড অফ ক্রিমিনাল প্রসিডিওর, ১৯৭৩’-এর ৪১ডি ধারা অনুযায়ী ইডির জিজ্ঞাসাবাদের সময় আইনজীবীকে পাশে পাওয়ার অধিকার রয়েছে তাঁর। এদিকে এ প্রসঙ্গে ইডির দাবি, জেল হেপাজতে থাকাকালীন ‘কালীঘাটের কাকু’ তাঁর আইনজীবী এবং কন্যার সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পেয়েছেন।
এদিকে ইডি সুজয়কৃষ্ণ সম্পর্কে সামনে এনেছেন এক বিস্ফোরক তথ্য। ইডি সূত্রের দাবি, সুজয়ের সঙ্গে লিঙ্ক রয়েছে এমন ৪০টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সন্ধান পেয়েছেন তাঁরা। সেই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলি কোন কাজে ব্যবহার করা হতো তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ওই অ্যাকাউন্টগুলির মাধ্যমে কালো টাকা সাদা করার কাজ হয়েছিল কি না, দেখছেন তদন্তকারী আধিকারিকেরা। কেন্দ্রীয় সংস্থা সূত্রে পাশাপাশি এও দাবি করা হয় যে, সুজয়কৃষ্ণের এতগুলি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে যোগসাজসই সন্দেহ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। এর আগে তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক কোম্পানির সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ করেছিল ইডি। সেই সংস্থাগুলিকে টাকা তোলার কাজে ব্যবহার করা হয়েছিল বলেও অভিযোগ।একইসঙ্গে ইডি সূত্রে এও জানা গিয়েছে, আরও নতুন তিনটি কোম্পানির নাম পাওয়া গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলায় সুজয়কৃষ্ণকে গ্রেপ্তার করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। এরপর আদালতে তাঁকে তোলা হলে আদালত তাঁকে আপাতত ১৪ দিনের ইডি হেপাজতে থাকার নির্দেশ দেয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

four − two =