ভালোবাসা না পেয়ে আত্মঘাতী যুবক, দায় কার!

কলকাতা: পাত্রীর অমতে হয়েছিল বিয়ে। তাই হয়তো কোনওদিনই ভালোবাসতে পারেননি স্বামীকে। মাস তিনেক আগে তাঁকে ছেড়েও যান। তারই পরিণতি, অকালে ঝরে গেল তরজাতা প্রাণ। শনিবার ঘর থেকে উদ্ধার হয়েছে পাপাই মান্নার ঝুলন্ত দেহ। ঘটনাটি ঘটেছে বেহালার নেতাজি সড়কে। পুলিশ সূত্রে খবর, ঘর থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি সুইসাইড নোট। সেখানেই বলা হয়েছে স্ত্রীর ভালোবাসা না পেয়েই চরম সিদ্ধান্ত।

জানা গিয়েছে, বিয়ের প্রথম দিন থেকেই আপত্তি ছিল রিঙ্কির। পাপাইকে বোধ হয় কোনও দিনই মন থেকে মেনে নিতে পারেননি তিনি। শনিবার সকালে দীর্ঘক্ষণ দরজা না খোলায় সন্দেহ হয় পরিবারের। ঘরে তখন একাই ছিলেন পাপাই মান্না নামে ওই যুবক। পরে দরজা ভেঙে পরিবারের সদস্যরা দেখেন সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছেন পাপাই। এরপর পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে। ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে সেই দেহ। প্রাথমিক তদন্তে আত্মহত্যার ঘটনা বলেই অনুমান পুলিশের। যে সুইসাইড নোট উদ্ধার করেছে পুলিশ, তাতে দায়ী করা হয়েছে মৃতের শ্বশুর, শাশুড়ি, শ্যালক ও শ্যালিকাকে। তাঁর মৃত্যুর জন্য স্ত্রীকেও দায়ী করেছেন ওই যুবক।

চার বছরের বিবাহিত জীবন। তাঁদের কোনও সন্তান হয়নি। সেই নিয়ে অশান্তি ছিল স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে। তিন মাস আগে স্ত্রী রিঙ্কি পাপাই-কে ছেড়ে চলে যান। তারপর থেকেই পাপাই ভেঙে পড়েছিলেন বলে জানিয়েছেন তাঁর ভাই। পাপাই তাঁর স্ত্রীকে খুবই ভালবাসতেন বলে পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে। সুইসাইড নোটে তিনি একাধিকবার লিখেছেন যে তিনি স্ত্রী রিঙ্কিকে ভালোবাসতেন। রিঙ্কি তাঁকে ভালোবাসতে পারেনি বলেই এই সিদ্ধান্ত। ‘মৃত্যুর পরও রিঙ্কির জন্য অপেক্ষা করব’, এমনটাই লেখা হয়েছে সুইসাইড নোটে।

পাপাইয়ের পরিবারের তরফ থেকে এখনও কোনও লিখিত অভিযোগ বেহালা থানায় করা হয়নি। পুলিশ দেহ ময়নাতদন্তে পাঠিয়ে তদন্ত শুরু করেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

2 × four =