প্যারা পাওয়ারলিফ্টিংয়ে সোনা জিতে ইতিহাস সুধীরের

সুধীর, এই একটি নামই মধ্যরাত থেকে ভারতীয় স্পোর্টসে আলোচনায়। চলতি কমনওয়েলথ গেমসে ভারতকে পুরুষদের হেভিওয়েট প্যারা ভারোত্তোলনে দেশকে প্রথমবার সোনা এনে দিয়েছেন সুধীর। গত বৃহস্পতিবার প্রথম প্রচেষ্টাতেই ২০৮ কেজি তুলেছেন সুধীর। দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় কাঁধে নিয়েছেন ২১২ কেজি। তৃতীয় ও সর্ব শেষ প্রচেষ্টায় সুধীর ২১৭ কেজি তুলতে ব্যর্থ হয়েছেন, তবুও ভারতকে সপ্তম সোনা এনে দিতে পেরেছেন তিনি। এখানেই শেষ নয়,সুধীর কমনওয়েলথে গেমস রেকর্ড করেছেন।

তাঁর মোট পয়েন্ট ১৩৪.৫। ২৭ বছরের অ্যাথলিট এশিয়ান প্যারা গেমসেও ব্রোজ্ঞ জিতেছিলেন। পোলিওর জন্য পঙ্গু হয়ে যাওয়া সুধীরকে দমাতে পারেনি কোনও প্রতিকূলতাই। বার্মিংহ্যামে সেই কথাই প্রমাণ করে দিলেন।
দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও ট্যুইট করে ভূয়সী প্রশংসা করেছেন সুধীরের। মোদী লিখেছেন, “কমনওয়েলথের প্যারা-স্পোর্টসে দারুণ শুরু করল ভারত। সৌজন্যে সুধীর। ও সম্মানের সোনা জিতে দেখিয়ে দিল ওর নিজের প্রতি দায়বদ্ধতা। ওর ধারাবাহিক ভাবে পারফর্ম করে আসছে। আগামীর জন্য সুধীরকে আমার অনেক শুভেচ্ছা।” দেশের সদ্য নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ট্যুইটারে লিখলেন, “আপনাকে শুভেচ্ছা সুধীর। আপনি প্যারা ভারোত্তোলনে দেশকে ঐতিহাসিক সোনা এনে দিয়েছ। আপনার অসাধারণ পারফরম্যান্স, আত্ননিবেদন দেশকে পদক এনে দিয়েছে। লেখা হয়েছে গৌরবগাথা। ভবিষ্যতেও তোমার ঔজ্জ্বল্য বজায় থাকুক।”
সুধীর সোনা জিতলেও দেশের অনান্য প্যারা ভারোত্তোলকরা পদক জিততে ব্যর্থ হয়েছেন। মনপ্রীত কউর সফল ভাবে প্রথম প্রচেষ্টায় ৮৭ কেজি তুলতে সক্ষম হয়েছিলেন। তাঁর ঝুলিতে আছে ৮৮.৬ পয়েন্ট।

দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় ৮৮ কেজি তুলে ৮৯.৬ পয়েন্ট পান। কিন্তু শেষ প্রচেষ্টায় ৯০ কেজি তুলতে ব্যর্থ হন। প্যারা ভারোত্তোলক সাকিমা খাতুন প্রথম প্রচেষ্টায় ৯০ কেজি তুলতে ব্যর্থ হয়েছিলেন। কিন্তু দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় ৯০ কেজি তুলে ৮৭.৫ পয়েন্ট সংগ্রহ করেন। মনপ্রীত-সাকিমা জুটি চতুর্থ ও পঞ্চম স্থানে শেষ করে পোডিয়ামে জায়গা করে নিতে পারেননি। পুরুষদের বিভাগে পরমজিত কউরও ব্যর্থ হয়েছেন। প্রথম প্রচেষ্টায় ১৬৫ কেজি তুলে নেন ঠিকই। কিন্তু দ্বিতীয়বার ১৬৫ কেজি তুলতে তিনি ব্যর্থ হয়েছেন। শেষ প্রচেষ্টাতেও হতাশ করেন তিনি। টেবিলের একেবারে নীচে শেষ করেন পরমজিত। ভারতের চলতি কমনওয়েলথে পারফরম্যান্স সত্যিই প্রশংসনীয়। একের পর এক পদক এসেই যাচ্ছে ভারোত্তোলন থেকে। ২০২৪ সালে আসন্ন অলিম্পিক্স ও প্যারালিম্পিক্সের নেট প্র্যাকটিস দারুণ ভাবে সেরে রাখলেন ভারতীয়রা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

thirteen − twelve =