স্বাস্থ্যভবনে হঠাৎ-ই হাজির ২২ বিধায়ক সহ শুভেন্দু

ডেঙ্গু নিয়ে উদ্বেগজনক পরিস্থিতি রাজ্য জুড়ে। স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্ট অনুসারে প্রতিদিনই বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা। এই অবস্থায় মঙ্গলবার সকালে বিজেপি বিধায়কদের সঙ্গে নিয়ে স্বাস্থ্য ভবনে হাজির হন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এরপরই স্বাস্থ্য ভবনের গেটের বাইরে পুলিশ আটকে দেওয়ায় ধস্তাধস্তি বাধে বিরোধী দলনেতার সঙ্গে। সূত্রে খবর, রাজ্য সরকারের তরফে ১৫ দফা নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে।  একাধিক নিয়মবিধি মানার নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন। তবে বিরোধীদের অভিযোগ, ডেঙ্গু রোধে রাজ্য সরকার উদাসীন। তাই বাড়ছে আক্রান্ত, মৃত্যু। রাজ্য সরকার ‘ডেঙ্গুর সরকার’ হয়ে গিয়েছে। সেসব তথ্য নিয়ে স্বাস্থ্যভবনে একটি  স্মারকলিপি দিতে গিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী ও বিজেপির ২২ জন বিধায়াক।       প্রসঙ্গত, এর আগে ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর অনুপস্থিতিতে মুখ্যসচিবের সঙ্গে দেখা করার জন্য সময় চেয়েছিলেন শুভেন্দু। তবে মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিদেবদী অনুপস্থিত থাকায় দেখা হয়নি। এরপর এদিন হঠাৎই স্বাস্থ্য ভবনে বিজেপি বিধায়কদের সঙ্গে নিয়ে হাজির হন বিরোধী দলনেতা। শুধু হাজির হওয়াই নয়, স্বাস্থ্যভবনের ভিতরেও ঢুকতে চান তিনি। অভিযোগ, স্বাস্থ্যভবনের নিরাপত্তারক্ষী ও পুলিশকর্মীরা তাঁকে ভিতরে যাওয়ার অনুমতি দেননি। তখনই পুলিশকর্মীদের সঙ্গে বাকযুদ্ধে জড়ান শুভেন্দু। তিনি বলেন, ‘আপনারা বিধায়কদের এভাবে আটকাতে পারেন না।’ এরপর স্লোগান ওঠে – ‘ডেঙ্গুর সরকার, আর নেই দরকার।’  এরপরই শুরু হয় ধস্তাধস্তি। বেধে যায় ধুন্ধুমার কাণ্ড। এর পাশাপাশি বিধায়করাও স্লোগান তুলতে থাকেন। স্বাস্থ্যভবনে প্রবেশে বাধা দেওয়া প্রসঙ্গে ক্ষুব্ধ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু জানান, ‘স্বাস্থ্য ভবন কি তৃণমূলের পৈত্রিক সম্পত্তি? এখানে ২০-২২ জন বিধায়ক আর বিরোধী দলনেতাকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। তৃণমূল আসার আগে এ বাড়ি হয়েছে। আর যাঁরা ভিতরে রয়েছে তাঁরা ট্যাক্সের টাকায় বেতন পান।’ এরই পাশাপাশি শুভেন্দুর অভিযোগ, ‘ছোট ছোট শিশু মারা যাচ্ছে। সদ্যজাত মারা যাচ্ছে। প্রসূতি মা মারা যাচ্ছে। ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি। এদিকে হাসপাতালে বেড নেই। প্রাইভেট নার্সিংহোমে নো-এন্ট্রি বোর্ড লাগানো হয়েছে।’  সঙ্গে শুভেন্দুর সংযোজন, ‘করোনার থেকেও খারাপ হয়েছে রাজ্যের ডেঙ্গু পরিস্থিতি। টেস্ট কিট নেই, ১০০-র বেশি মারা গিয়েছে। কেন্দ্রকে রিপোর্ট দেয়নি রাজ্য। রাজ্য সরকারের এসব দিকে কোনও খেয়াল নেই। কত মৃত্যু হয়েছে ডেঙ্গুতে, সেই তথ্য প্রকাশ করছে না। আমরা এখানে একটা ডেপুটেশন দিতে এসেছিলাম। ৫ মিনিটের কাজ। সচিবের সঙ্গে দেখাও করতাম না। স্মারকলিপিতে সই করিয়ে রিসিভড কপি নিয়ে যেতাম। কিন্তু তাও আমাদের আটকানো হচ্ছে। আসলে বিজেপিকে ভয় পেয়েছে। তাই বিজেপিকে স্বাস্থ্যভবনেও ঢুকতে দিচ্ছে না।’ এরপর গাড়িতে ওঠার সময় বিরোধী দলনেতাকে পুলিশের উদ্দেশে বলতে শোনা যায়, ‘হিসেব নেব।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

1 × two =