জিন্দেগি দো পল কি!
তাঁর গানের এই লাইনকে সত্যি করে দেশবাসীকে কাঁদিয়ে চলে গেলেন কেকে।কৃষ্ণকুমার কুন্নাথ, তাঁর নিজের এই নামটা এখনও জানেন না অনেকেই। আসলে তরুণ প্রজন্মের হার্ট থ্রব পরিচিত কেকে নামেই।
কলকাতার নজরুল মঞ্চে লাইভ পারফরম্যান্সের পর অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। হাসপাতালে নিয়ে গেলেও বাঁচানো যায়নি তাঁকে। তবে সঙ্গীত শিল্পীর মৃত্যু প্রশ্ন তুলে দিয়েছে অনেকগুলো।
মঙ্গলবার রাতে ধারণক্ষমতার চেয়ে বেশি লোকজনকে ঢুকতে দেওয়া হয়েছিল নজরুল মঞ্চে, প্রবল ভিড়ে গরমও বেড়েছিল পাল্লা দিয়ে। তার মধ্যেই মঞ্চে পারফর্ম করছিলেন কেকে। ৫৩ বছর বয়সি গায়কের সুরে-তালে উদ্বেল হয়ে উঠছিল তরুণ প্রজন্ম।আর তার কিছুক্ষণের মধ্যেই সব শেষ। সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে শুধু অবিশ্বাস্য বার্তা! এ কি সত্যি! কেমন করে হল এসব?
ঘটনার জেরে অস্বাভাবিক মৃত্যু মামলা রুজু হয়েছে। কেকে দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে এসএসকেএমে।রাতের মর্মান্তিক ঘটনার পর থেকেই একের পর এক ভিডিও সামনে এসেছে কেকে-র পারফরমেন্সের। কোনও ভিডিও-তে দেখা গেছে, স্টেজের ওপরেও ভিড় করে রয়েছেন দর্শকরা। কোনও ভিডিওয় দেখা গেছে, গাইতে গাইতে দরদর করে ঘামছেন কেকে, জল খাচ্ছেন, ঘামে ভেজা জামা দেখাচ্ছেন দর্শকদের, আলো বন্ধ করে দিতে বলছেন।
তথ্য বলছে, নজরুল মঞ্চে দর্শক ধরে মেরেকেটে আড়াই হাজার। কিন্তু মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সেখানে অন্তত সাত হাজার লোক ঢুকেছিলেন বলে জানা গেছে। অনেকে নাকি পাঁচিল টপকেও ঢুকেছিলেন। শুধু তাই নজরুল মঞ্চে সেই সময় সমস্ত এসি কার্যকর ছিল কিনা, এসি বন্ধ করে রাখা হয়েছিল কি না তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।অনেকেই মন্তব্য করছেন, প্রবল গরমে, দর্শকের অতিরিক্ত চাপ, এসি কার্যক্ষমতা সেই পরিমাণ না থাকা কোথাও এই মৃত্যুর নেপথ্যে কাজ করেছে। অনেকেই বলছেন ওপেন এয়ার-এ হলে এমন বিপদ এড়ানো যেত। ভিড় সামলাতে নজরুল মঞ্চের সাতটি দরজার মধ্যে পাঁচটিই খুলে দেওয়া হয়েছিল বলে ওই সূত্রের দাবি। এর ফলে গরম আরও বাড়ে।
সত্যিটা কি তা জানার জন্য তদন্ত প্রয়োজন।