নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধনের দিন তারই সামনে দিল্লিতে কুস্তিগিরদের পুলিশি হেনস্থা, আটকের ঘটনার আঁচ এবার এসে পড়ল কলকাতাতেও। রবিবারের এই ঘটনার প্রতিবাদে দেশজুড়ে এসইউসিআইয়ের পক্ষ থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি নেওয়া হয়। যার মধ্যে একটি ছিল রাজভবন অভিযান। বাম নেতা-কর্মীদের সোমবারের এই অভিযানকে কেন্দ্র করে উত্তেজনাও ছড়ায় রাজভবন চত্বরে।
সোমবার দুপুরে পরিকল্পনা মতোই রাজভবনের সামনে জড়ো হন এসইউসিআইয়ের রাজ্য শাখার কর্মীরা। পুলিশ আন্দোলনকারীদের বাধা দিলেই বচসা বাঁধে। শুরু হয় ধস্তাধস্তি। কিছুক্ষণের মধ্যেই পুলিশ রাজভবনের সামনে থেকে সরিয়ে দেন বিক্ষোভকারীদের।
প্রসঙ্গত, কুস্তি ফেডারেশনের সভাপতি ব্রিজভূষণ চরণ সিংয়ের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগে চলতি বছরের গোড়া থেকেই আন্দোলন শুরু করেন কুস্তিগিররা। যন্তর মন্তরের সামনে ধর্নায় বসেন সাক্ষী মালিকরা। তাঁদের দাবি, অবিলম্বে গ্রেপ্তার করতে হবে ব্রিজভূষণকে। দিল্লি পুলিশ কুস্তিগিরদের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে। যদিও এখনও ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। ফলে এপ্রিল মাস থেকে আন্দোলনের ঝাঁঝ বাড়ান কুস্তিগিররা।
এরপর নয়া সংসদ ভবনের উদ্বোধনের দিন রবিবার যন্তর মন্তর থেকে সংসদ ভবন অভিযানের ডাক দেন কুস্তিগিররা। যা কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে বচসা বাধে সাক্ষী মালিক, ভিনেশ ফোগাট, বজরং পুনিয়াদের। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তির সঙ্গে পদকজয়ী ক্রীড়াবিদদের রীতিমতো টেনে হিঁচড়ে প্রিজন ভ্যানে তোলার ছবি সামনে আসে। পুলিশকর্মীদের বিরুদ্ধে মহিলা কুস্তিগিরদের ওপর মারধর করার অভিযোগও ওঠে। বেশ কয়েকজনকে আটকও করা হয়। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সরগরম হয় গোটা দেশ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতানেত্রী ঘটনার তীব্র নিন্দা করে বিদ্ধ করে মোদি সরকারকে। তারই অংশ হিসেবে বাম সমর্থিত সংগঠন সোমবার এসইউসিআই দেশজুড়ে প্রতিবাদ কর্মসূচি নেয়।