এসএসসি গ্রুপ-সি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই হেফাজতে সুবীরেশ ভট্টাচার্য। শনিবার তাঁকে ৫ দিনের সিবিআই হেফাজত নির্দেশ দিল আলিপুর বিশেষ সিবিআই আদালত। আদালত সূত্রে খবর, আগামী ২২ ডিসেম্বর ফের নিম্ন আদালতে পেশ করা হবে তাঁকে। এর আগে নবম-দশম নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হেফাজতে ছিলেন কমিশনের প্রাক্তন চেয়ারম্যান এই সুবীরেশ। গত বৃহস্পতিবার এসএসসি মামলায় কলকাতা হাই কোর্টে অস্বস্তিতে পড়েন কমিশনের প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্য। জামিনের আবেদন করা হলে আদালতের তরফ থেকে সে আবেদনে কোনও মান্যাত দেননি বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি এবং বিচারপতি অজয় কুমার গুপ্তর ডিভিশন বেঞ্চ। বরং জানতে চাওয়া হয়, এই তদন্ত কোন পর্যায়ে আছে বা তা শেষ হতে কতদিন লাগতে পারে। পাশাপাশি এ প্রশ্নও তোলা হয়, এই তদন্তের জন্য সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে হেফাজতে রাখার প্রয়োজন আছে কি না তা নিয়েও। শুধু তাই নয়, দুর্নীতিতে কী ভূমিকা রয়েছে সুবীরেশ ভট্টাচার্যর তা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়। সঙ্গে এ প্রশ্নও বিচারপতি বাগচি ও বিচারপতি গুপ্তর ডিভিশন বেঞ্চ থেকে জানতে চাওয়া হয়, তার বিরুদ্ধে আর কোন মামলা বিচারাধীন আছে কি সে ব্যাপারেও। পাশাপাশি সুবীরেশ ভট্টাচার্যের আইনজীবী এও জানান, ৮৮ দিন জেলে রয়েছেন, ৫ বার সিবিআইয়ের সামনে হাজিরা দিয়েছেন, এফআইআর-এ তাঁর নাম ছিল না।এদিকে তদন্তে সব রকম সহযোগিতাও করেছেন তিনি।এ ব্যাপারেও চার্জশিটও দাখিল হয়ে গেছে। এরপর সুবীরেশের সর্বোচ্চ সাজার মেয়াদ ৭ বছর, তদন্তে দেরি হচ্ছে এই অভিযোগ থাকলে সাড়ে তিন বছর পরে আসুন বলে সুবীরেশ ভট্টাচার্যর আইনজীবীকে উদ্দেশ্য করে মন্তব্য করেন বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি। সঙ্গে এও জানতেচাওযা হয়, সুবীরেশ ভট্টাচার্যর বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ করেছেন তা নিয়েও। এরপরই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়েক সিবিআই বিচারকের ভূমিকায় ক্ষোভপ্রকাশ করতেও দেখা যায়। প্রশ্ন তোলেন, জেল থেকে আদালতের দূরত্ব ২ কিলোমিটারেরও কম। এত সময় কেন লাগবে? সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে তিহার জেল থেকে নিয়ে আসা হবে নাকি? প্রশ্ন বিচারপতির। বিষয়টি নিয়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা বিচারকের রিপোর্ট তলব করেন তিনি।আদালতের উষ্মাপ্রকাশের দু’দিনের মাথায় আলিপুর বিশেষ সিবিআই আদালতে পেশ করা হয় সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে।