যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রমৃত্যুর তদন্তে নয়া আর্জি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। বিশ্ববিদ্যালয়ে চত্বরে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার পাশাপাশি তাঁর আবেদন, ছাত্রমৃত্যুর মামলায় ইউএপিএ ধারা প্রয়োগ করে এনআইএ-কে তদন্তভার দেওয়া হোক। কারণ, তাঁর অভিযোগ, যাদবপুরে মাওবাদী সংগঠনের আধিপত্য রয়েছে। এখান থেকে একাধিক হামলার ঘটনাও ঘটেছে আগে।
বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রমৃত্যুর তদন্তকে প্রভাবিত করা হচ্ছে, এই অভিযোগ তুলে এক প্রাক্তনী হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন। তাতে তিনি আবেদন জানান, মামলায় সিবিআই, এনসিবি, এনআইএ-কে যুক্ত করা হোক। এতে নিরপেক্ষ তদন্ত হবে। এরই পাশপাশি শুভেন্দু অধিকারীও এনআইএ তদন্তের দাবি তোলেন। সোমবার শুভেন্দু দাবি করেন, যাদবপুরের মতো বিশ্ববিদ্যালয়ে মাওবাদী সংগঠনের আধিপত্য রয়েছে। এখানে ‘আজাদি’ স্লোগানও শোনা যায়। তাই নিরাপত্তার জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হোক। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ইউএপিএ প্রয়োগ করার আরজিও জানান বিরোধী দলনেতা।
প্রসঙ্গত, ছাত্রমৃত্যুর প্রতিবাদে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে সম্প্রতি পরপর কয়েকদিন প্রতিবাদ মিছিলে নামা বাম ও অতি বাম সংগঠনের মুখে ‘আজাদি’ স্লোগান শোনা গিয়েছে। বিরোধী দলনেতারই গাড়ি ঘেরাও করা হয়েছে। এই প্রসঙ্গে বলে রাখা শ্রেয়, বেশ কয়েক বছর আগে তৎকালীন বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় যাদবপুর ক্যাম্পাসে ঢোকার মুখে ছাত্রদের বাধার মুখে পড়েছিলেন। তাঁকে শারীরিকভাবে হেনস্থার অভিযোগও ওঠে বামপন্থী ছাত্রদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনার পরই শুভেন্দু অধিকারী এই দাবি তুলে এ বিষয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করার আবেদন জানান। তার অনুমতিও দিয়েছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। চলতি সপ্তাহে এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা।