হেমতাবাদে নির্বাচনী সভা করে প্রচারের ঝড় তুললেন শুভেন্দু অধিকারী

 রায়গঞ্জ : প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রায়গঞ্জ শহরে দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে সভা করে যাওয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ১৪ কিলোমিটার দূরে হেমতাবাদে এদিন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী নির্বাচনী সভা করে কার্যত ঝড় তুলে দিলেন। জেলার এইমস ইস্যু থেকে শুরু করে গতবছর কালিয়াগঞ্জ কাণ্ডে কিশোরীর ধর্ষণ, খুন এবং রাতের অন্ধকারে তল্লাশির সময় স্থানীয় রাজবংশী যুবককে পুলিশের গুলি করে হত্যা, একের পর এক স্থানীয় ইস্যু তুলে তৃণমূল কংগ্রেস ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিকে তুলোধুনো করলেন শুভেন্দু অধিকারী।
এদিনের সভায় শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছেন, এই জেলার অন্যতম দাবি ছিল এইমস হাসপাতাল। নরেন্দ্র মোদি ক্ষমতায় আসার পর এই এইমস হাসপাতাল করার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির কাছে প্রয়োজনীয় জমি চায়। কিন্তু মমতা ব্যানার্জি সেই জমি এখানে না দিয়ে কল্যাণীতে বরাদ্দ করেন। কেন্দ্রীয় সরকার সেখানে এইমস হাসপাতাল তৈরি করে।
প্রধানমন্ত্রী এখনও চান উত্তরবঙ্গে এইমস হাসপাতাল তৈরি করতে। রায়গঞ্জ আসন থেকে আপনারা আমাদের প্রার্থীকে বিপুল ভোটে জেতান। আমি বিরোধী দলনেতা হিসেবে কথা দিচ্ছি উত্তরবঙ্গে এইমস করা হবে। এবার আর মমতা ব্যানার্জির উপর নির্ভর করতে হবে না। কেন্দ্রীয় সরকারের অধীন যে সমস্ত বিভাগ রয়েছে (রেল, বিএসএফ, ন্যাশনাল হাইওয়ে অথিরিটি) তাদের জমিতেই এই হাসপাতাল তৈরি করা হবে। এটা রাজ্য সরকারের প্রতিশ্রুতি নয়। এর আগে নির্বাচনের সময় তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল হেমতাবাদে ফায়ার ব্রিগেড, কলেজ তৈরি করা হবে। আজ পর্যন্ত তা হয়নি। ১০০ দিনের কাজের টাকা চুরিতে রাজ্যে প্রথম এই জেলা। গত জেলাশাসক অরবিন্দ কুমার মীনা, স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা তথা করণদিঘির বিধায়ক গৌতম পালের এনজিও’ র মাধ্যমে পুরো বরাদ্দ টাকা আত্মসাৎ করেছে। এবারের লোকসভা নির্বাচনে রায়গঞ্জ আসনে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী কৃষ্ণ কল্যাণী হর্টিকালচার ফার্মের নামে প্রায় ৩২ কোটি টাকার দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত। সম্প্রতি, তার বাড়িতে ইনকাম ট্যাক্স ডিপার্টমেন্ট থেকে অভিযান করা হয়েছে। এই ধরনের ঠগ মানুষকে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী করেছে।
গতবছর এপ্রিল মাসে কালিয়াগঞ্জ থাকার সাহেবঘাটা এলাকার এক রাজবংশী কিশোরকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়। শাসকদলের বদান্যতায় তার বিরুদ্ধে পুলিশ ও প্রশাসন থেকে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। আমরা তার বিচার চেয়ে প্রতিবাদ করলে পুলিশ আমাদের সমর্থকদের উপর লাঠিচার্জ করে, গুলি চালায়। এরপর তল্লাশির নামে কালিয়াগঞ্জ ব্লকের রাধিকাপুর এলাকার চাদগাও গ্রামে বাড়িতে ঢুকে এক রাজবংশী যুবককে পুলিশ গুলি চালিয়ে খুন করে। এলাকায় এইসব অন্যায়ের বদলা হিসেবে বিজেপিকে ভোট দিন। রাজ্যে ক্ষমতায় এলে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের নাম পরিবর্তন করে ‘অন্নপূর্ণা ভাণ্ডার’ নামকরণ করার পাশাপাশি প্রতিমাসে ভাতা ৩০০০ টাকা করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

14 + four =