রাজীব মুখোপাধ্যায়
কলকাতা: সোমবার দেশ জুড়ে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৬তম জন্ম বার্ষিকী পালিত হয়েছে। পরাক্রম দিবসে নেতাজিকে সন্মান ও শ্রদ্ধা জানাতে বাইকে চেপে হায়দরাবাদ থেকে কলকাতায় সেখানকার বাসিন্দা গণপুরম কেতন। পেশায় তিনি আইনজীবী।
প্রায় ১ হাজার ৯০০ কিমি পথ বাইকে চালিয়ে সোমবার তিনি কলকাতায় এসে পৌঁছন। দেশ নায়ককে সম্মান জানাতে কেন কলকাতাতেই ছুটে আসা? প্রশ্ন শুনে কেতন জানান, নেতাজি যেহেতু কলকাতার এলগিন রোডের বাড়ি থেকেই ব্রিটিশদের চোখে ধুলো দিয়ে পালিয়ে গিয়েছিলেন সেহেতু শ্রদ্ধা জানানোর জন্য এই জায়গা বেছে নেওয়া। তিনি চান, নেতাজির অন্তর্ধান রহস্য জন সমক্ষে আসুক। পাশাপাশি নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু সংক্রান্ত সমস্ত গোপনীয় ফাইল প্রকাশ্যে নিয়ে আসুক কেন্দ্রীয় সরকার।
গত ১৯ জানুয়ারি হায়দ্রাবাদ থেকে কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা দেন। দু’দিন বাইক চালিয়ে কলকাতায় পৌঁছন শনিবার রাতে। সোমবার এলগিন রোডে নেতাজি ভবনে গিয়ে প্রিয় ‘হিরো’কে শ্রদ্ধা জানান তিনি। বলেন, তিনি একজন নেতাজিপ্রেমী । তাই তাঁর দাবি দেশের প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রতি, অবিলম্বে যেন কেন্দ্রীয় সরকার নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু ও ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল আর্মি সংক্রান্ত যে ফাইলগুলি রয়েছে তা সর্বসমক্ষে নিয়ে আসে। এছাড়াও তিনি মনে করনে, সমস্ত রাজ্যেই নেতাজির নামে মিউজিয়াম তৈরির করা প্রয়োজন।
এই মিউজিয়াম তৈরি হলে সেখান থেকে দেশবাসী আরও অনেক কিছু জানতে পারবেন। তাঁর জীবন আদর্শ বিষয়েও অবগত হবে দেশের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্ম। নেতাজির জীবন নিয়ে আসল ঘটনা জানার অধিকার সকলের রয়েছে। কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রীর কাছেও তাঁর আবেদন, নেতাজির বিষয়ে স্কুলের ও ইতিহাসের পাঠ্য পুস্তকে আসল সত্যিটা প্রকাশিত হোক। এই বিষয়গুলি জানানোর জন্যই কেতন সুদূর হায়দরাবাদ থেকে কলকাতায় এসেছেন বলেই জানান তিনি। এছাড়াও জাপানের রাঙ্কোজি মন্দিরে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর অস্থি যদি সত্যিই থাকে তবে তা দেশে ফিরিয়ে আনুক কেন্দ্রীয় সরকার।
হায়দরাবাদ থেকে বাইকে যাত্রার সময় প্রথমে এই যুবক আসেন অন্ধ্রপ্রদেশের আন্নাভারামে । সেখান থেকে বিশাখাপত্তনম হয়ে আসেন ভুবনেশ্বরে। একরাত কাটিয়ে শনিবার রাতে পৌঁছন কলকাতায়। যাত্রাপথে প্রতিদিন তিনি প্রায় সাড়ে তিনশো থেকে চারশো কিলোমিটার রাস্তা বাইক চালিয়েছেন বলেও জানান কেতন। তিনি নেতাজি সম্পর্কে বিভিন্ন ভাষার বই তিনি পড়েছেন। তনি চান নেতাজি সম্পর্কে দেশের মানুষের কাছে প্রকৃত তথ্য প্রকাশ্যে আসুক। সেই বার্তা দিতেই কলকাতায় আসা বলে জানান গণপুরম কেতন।